জান্নাতে পুরুষরা হুর পেলে মহিলারা কি পাবে?
নাস্তিকরা অনেক সময় একটা প্রশ্ন করে, -- জান্নাতে পুরুষরা ১০০ জন হুর পাবে, আর তাঁর স্ত্রী হবে সেই সকল হুরদের রাণী। কিন্তু, যেসকল নারীদের স্বামী জাহান্নামে যাবে, তারা কি পাবে? কোরআনে নারীদের এই ব্যাপারে কিছু বলা নেই কেন? তাহলে কি আল্লাহ নারীদের ব্যাপারে বৈষম্য করলেন?
.
.
ইউটিউবে অনেক আলেম দেখলাম তাদের মনগড়া উত্তর দিয়েছে। তা নিয়ে নাস্তিক+বিধর্মীরা যথেষ্ট পরিমান হাসি তামাসা করেছে। সত্যিই, এসব হাসি তামাসা দেখে খুব রাগ হয়েছিলো। আমি এর উত্তর খুঁজতে লাগলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমার মনের এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছন। একটা ব্যাপার হলো, আমার মনের এমন কোন প্রশ্ন নেই, যার উত্তর আল্লাহ দেন নাই! এটার উত্তরও পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
.
ড. জাকির নায়েক তাঁর লেকচারে এই ব্যাপারে কথা বলেছিলেন। জান্নাতে পুরুষরা পাবে হুর, তাহলে মহিলারা কি পাবে? -- আসলে মহিলারাও এই হুরই পাবে। হুর শব্দটি কোন স্ত্রীবাচক শব্দ নয়। এটা কমন জেন্ডার। আরবি ব্যাকরণে হুর একটি কমন জেন্ডার। হুর শব্দের দ্বারা সুন্দর চক্ষু বিশিষ্ট কাউকে বুঝানো হয়েছে। পাকিস্তানি কোন লেখক (নামটা মনে করতে পারছি না) তার কবিতায় হুরকে স্ত্রী লিঙ্গ হিসেবে প্রকাশ করেছিলো। আর তাই মানুষ হুর বলতে স্ত্রী লিঙ্গ হিসেবেই বুঝে থাকে। কিন্তু, আদতে তা স্ত্রী লিঙ্গ নয়। শুধুমাত্র ভারতীয় উপমহাদেশেই এই হুর বলতে স্ত্রী লিঙ্গ বুঝিয়ে থাকে। বাস্তবে এটা কমন জেন্ডার। কিন্তু, ইউটিবে কিছু হুজুর আমতা আমতা করে তাদের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামকে সবার সামনে হাসির খোরাকে পরিনত করেছে। অথচ, ইসলামে না জেনে কথা বলা সম্পূর্ণ হারাম।
.
সত্য এটাই, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সাথে কখনোই বৈষম্য করেন না। জুলুমও করেন না। দুনিয়ার বুকে এসব আপেক্ষিক কষ্ট সমুহ আল্লাহর পরীক্ষা মাত্র। আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয়তম পয়গম্বর বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও অনেক কষ্ট করেছিলেন। তিনি এমন ও দিন পার করেছেন, সারাদিন সারা রাত কিছুই খান নি। টানা তিনদিন তাঁর চুলোয় আগুন ধরেনি। তিনি সেই মানব, যাকে আমাদের স্রষ্টা কোনদিন নাম ধরে ডাক দেন নি। সেই নবী (সা.) তাঁর জীবনে অবর্ননীয় কষ্ট ভোগ করেছেন। তিনি ছিলেন নিষ্পাপ। আর আমরা পাপী। পাপের শেষ নেই। এর উপর আমরা বাস করছি হাদিসে বর্নিত ফেতনার যুগে। যাক, অনেক কিছু বললাম। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিলো সবার একটা বিষয়ে ধারনা ক্লিয়ার করা। জানিনা কতটুকু পেরেছি।
.
সময় নিয়ে পড়ার জন্য জাযাকাল্লাহ।
.
.
ইউটিউবে অনেক আলেম দেখলাম তাদের মনগড়া উত্তর দিয়েছে। তা নিয়ে নাস্তিক+বিধর্মীরা যথেষ্ট পরিমান হাসি তামাসা করেছে। সত্যিই, এসব হাসি তামাসা দেখে খুব রাগ হয়েছিলো। আমি এর উত্তর খুঁজতে লাগলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমার মনের এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছন। একটা ব্যাপার হলো, আমার মনের এমন কোন প্রশ্ন নেই, যার উত্তর আল্লাহ দেন নাই! এটার উত্তরও পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
.
ড. জাকির নায়েক তাঁর লেকচারে এই ব্যাপারে কথা বলেছিলেন। জান্নাতে পুরুষরা পাবে হুর, তাহলে মহিলারা কি পাবে? -- আসলে মহিলারাও এই হুরই পাবে। হুর শব্দটি কোন স্ত্রীবাচক শব্দ নয়। এটা কমন জেন্ডার। আরবি ব্যাকরণে হুর একটি কমন জেন্ডার। হুর শব্দের দ্বারা সুন্দর চক্ষু বিশিষ্ট কাউকে বুঝানো হয়েছে। পাকিস্তানি কোন লেখক (নামটা মনে করতে পারছি না) তার কবিতায় হুরকে স্ত্রী লিঙ্গ হিসেবে প্রকাশ করেছিলো। আর তাই মানুষ হুর বলতে স্ত্রী লিঙ্গ হিসেবেই বুঝে থাকে। কিন্তু, আদতে তা স্ত্রী লিঙ্গ নয়। শুধুমাত্র ভারতীয় উপমহাদেশেই এই হুর বলতে স্ত্রী লিঙ্গ বুঝিয়ে থাকে। বাস্তবে এটা কমন জেন্ডার। কিন্তু, ইউটিবে কিছু হুজুর আমতা আমতা করে তাদের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামকে সবার সামনে হাসির খোরাকে পরিনত করেছে। অথচ, ইসলামে না জেনে কথা বলা সম্পূর্ণ হারাম।
.
সত্য এটাই, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সাথে কখনোই বৈষম্য করেন না। জুলুমও করেন না। দুনিয়ার বুকে এসব আপেক্ষিক কষ্ট সমুহ আল্লাহর পরীক্ষা মাত্র। আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয়তম পয়গম্বর বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও অনেক কষ্ট করেছিলেন। তিনি এমন ও দিন পার করেছেন, সারাদিন সারা রাত কিছুই খান নি। টানা তিনদিন তাঁর চুলোয় আগুন ধরেনি। তিনি সেই মানব, যাকে আমাদের স্রষ্টা কোনদিন নাম ধরে ডাক দেন নি। সেই নবী (সা.) তাঁর জীবনে অবর্ননীয় কষ্ট ভোগ করেছেন। তিনি ছিলেন নিষ্পাপ। আর আমরা পাপী। পাপের শেষ নেই। এর উপর আমরা বাস করছি হাদিসে বর্নিত ফেতনার যুগে। যাক, অনেক কিছু বললাম। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিলো সবার একটা বিষয়ে ধারনা ক্লিয়ার করা। জানিনা কতটুকু পেরেছি।
.
সময় নিয়ে পড়ার জন্য জাযাকাল্লাহ।
Comments
Post a Comment