কেমন আছে পাকিস্তানে বসবাসরত বাঙালিরা?
Youtube এ অনেক চ্যানেল দেখি। পাকিস্তানি চ্যানেল। তো, সেসব চ্যানেলের ইউটিউবাররা বাংলাদেশ নিয়ে ভিডিও বানায়। দেখায় পাকিস্তানি মানুষেরা বাংলাদেশের প্রতি অনুতপ্ত। তারা ১৯৭১ সালের নির্মমতার পরিবর্তে সেইসব নরপিশাচ শাসকগোষ্ঠীদের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে। পাকিস্তানিরা সত্যিই নাকি খুব অনুতপ্ত!
তাহলে এবার আমি কিছু মন্তব্য করি। করাচি শহরে মোট ১৩২টি বাংলাদেশি কলোনি আছে। তাদের মাঝে নাম করা কিছু কলোনি হলো, মাচ্ছি কলোনি, বাংলা বাজার কলোনি, বাংলা কলোনি, মুসা কলোনি, ইব্রাহিম কলোনি। যার মাঝে টোটাল ২০ লক্ষ বাংলদেশি বাস করে। কিন্তু, দুঃখ জনক হলেও সত্য, এসব মানুষেরা খুবই মানবেতর জীবন যাপন করে। ১৯৪৭ এ দেশ ভাগের পর অনেক বাঙালি ঐ দেশে গিয়েছিলেন চাকরির জন্য, অনেকেই ব্যাবসা, মাছ ধরার সহ বহুবিধ কাজে। দেশ স্বাধীন হবার পরে অনেক বাংলাদেশিই ফিরতে পারেনি। এরপর তারাই সেখানে বসবাস শুরু করে। পয়সার অভাবে না আসতে পারা অনেক বাঙালির জীবন আজ দুর্বীসহ।
ভারতকে নিয়ে পাকিস্তান দমন করায় সেই সব বাংলাদেশিদের পাকিস্তানিরা গাদ্দার বলে ডাক দেয়। "গাদ্দার"! স্বাধীনতা অর্জন করায় বাঙালি নাকি "গাদ্দার"। সেসব বাংলাদেশিদের এক কথায় কোন সুযোগই দেয় না পাকিস্তান সরকার। মৌলিক চাহিদা পূরনে সেদেশের সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাদের শিক্ষার অধিকার নেই, চিকিৎসার সুযোগ নেই। এক কথায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। যদিও বর্তমান ইমরান খানের সরকার বাঙালিদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন নাকি। তবে ফলাফল নাকি এখনো দৃশ্যমান নয়।
তবে হ্যা, অনেক বাংলাদেশি ভালো অবস্থায়ও আছে। যারা রিসেন্ট, মানে ৯০ এর দশকে ব্যাবসার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন, পরে আর ফিরে আসেন নি।
করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ আছে। আবার করাচিতে #কওমী_বন্ধন ও #মুক্তি নামে দুটি বাংলা সংবাদপত্র প্রচার করা হয়। বাংলার এত ব্যাবহারের কারনে করাচিকে মিনি বাংলাদেশ বলা হয়।
যাক, যারা ফাকিস্তান নিয়ে লাফালাফি করে, তাদের বলি - তোমাদের জাতভাইদেরই তারা গাদ্দার বলে ডাকে। কেন জানো? মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য।
তবে ক্রিকেট খেলায় সমর্থনের ব্যাপারটা আলাদা। তারা বরাবরই বাংলাদেশকে ভাই হিসেবে সম্বোধন করেছেন।
Comments
Post a Comment