মোদি ও আমরা
আমরা যতোই মোদি হটাও বলে প্রটেস্ট করি না কেন, সত্য এটাই যে আমাদের নিজেদেরই ঠিক নাই।
আমরা মোদিকে ঘৃণা করি কেন? ভারতে তার নেতৃত্বে মুসলিমদের উপর অত্যাচারের স্টিমরোল চলছে। গুম-খুন হচ্ছে। মোদি একটা মুসলিম বিদ্বেষী। --- এটাই তো মূল কথা? হ্যা, এটাই মূল। অন্য কোন কারন নেই। তবে এবার আমি কিছু কথা বলি....
সবই মেনে নিলাম। মুসলিম ভ্রাতৃত্বের কারনেই আজ ঐ নাফরমানের প্রতি আমাদের এতো ঘৃণা। কিন্তু, যেই মুসলিম ভাইদের প্রতি সে এই অত্যাচার চালাচ্ছে, তাদের জন্য কয়বার আন্দোলন করেছি। কয়বার কঠোর প্রতিবাদ করেছি? না একবারও করিনি। একবারও না। যদি করতাম, তবে বিশ্বের সামনে ঢালাও ভাবে প্রচার হতো ভারতীয় উগ্র হিন্দুদের আসল চেহারা। এই মোদি প্রশাসন আন্তর্জাতিক ভাবে একটু হলেও চাপে পড়তো।
আজ আমরা কিছু না করেও নাকি হিন্দুদের উপর অত্যাচার করি। তারপর তিল থেকে তাল আর তারপর ভারতে মানববন্ধন। আন্দোলন। তাহলে আমাদের ভ্রাতৃত্ব বোধ থেকে আন্দোলন - প্রতিবাদ কোথায়? নাকি সবই লোক দেখানো।
মোদির বাংলাদেশে আসা বন্ধ হলে কি ভারতের মুসলিম নির্যাতন বন্ধ হবে? জয় শ্রীরাম নামক কুফরি ধ্বনি না দেয়ায় যেসকল মুসলিম ভায়েদের হত্যা করা হয়েছে, সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে কি? না হবে না। বিচার হবে না। বরং যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। বরং যদি আমরাই কঠোর ভাবে আন্দোলন করি, বিশ্বের বুকে ভারতের মুখোশ তুলে ধরি, তাহলে হয়তো একটু হলেও ভারত আন্তর্জাতিক ভাবে চাপে পড়তো।
তাই, মোদির দেশে আসা বন্ধের পাশাপাশি আন্দোলনে ভারতের স্বরুপ উন্মোচন করতে হবে। মুসলিম জাতির প্রতি ভারত সরকার কেমন মনোভাব পোষণ করে তা তুলে ধরতে হবে। আর বাংলাদেশের রাজনীতি সহ প্রায় সকল বিষয়ে ভারতের একক অধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থাকতে হবে।
মোদি হটাও
ভারতীয় আগ্রাসন নিপাত যাক
লেখাঃ Tareq Aronnyo

Comments
Post a Comment