মুহাম্মদ বিন সালমান কি ঠিক করলেন?

 

মদিনা মনোয়ারার মাটিতে প্রথম কোন হিন্দু প্রবেশ করলো। করুক এতে সমস্যা নেই। আমাদের ঐতিহ্য তারা দেখলো। দেখে যদি হেদায়েত প্রপ্ত হয় তবে ক্ষতি কি? এরচেয়েও বড় কথা মসজিদুল হারাম ব্যাতীত অন্য কোন মসজিদে বিধর্মীদের প্রবেশে বাধা নেই। তবে বাধা কোথায় জানেন? শালীনতায়!

একটা ভিডিও দেখলাম, সেখানে ভারতের বিজেপির এক মন্ত্রী নাম স্মৃতি ইরানি মসজিদে নববী পরিদর্শনে গিয়েছে। যেতেই পারেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ! সমস্যা নেই। আর মসজিদে নববী বিধর্মীরা ভ্রমণ করতে পারবে কি না এই বিষয়ে আমার কোন হাদিস জানা নেই। জানা থাকলে আমাকে জানাবেন।

তবে এতে তার লাভ কি সেটা কেউ জানে না। যেখানে মুসলিম বিদ্বেষী সরকার বিজেপির মদিনা মনোয়ারা ভ্রমণে আমার কাছে বিশেষ কোন তাৎপর্য নেই। তবে আমি লিখতে বসেছি অন্য একটা কারনে!!!

ভিডিওতে দেখলাম হাফপ্যান্ট পড়ে এক লোক মদিনা মনোয়ারা পরিদর্শন করছে। সাথে আরব শায়েখরা ছিলেন। তারা প্রতিবাদও করলো না। যেদিক দিয়ে হাটছিলো তার খুব কাছেই পবিত্র রওজা মুবারক আর জান্নাতুল বাকী। এখন বিধর্মীদের কাছে এই মদিনা মনোয়ারার বিশেষ মর্যাদা নাই থাকতে পারে, তবে মুসলিম লেবাস ধারী শায়েখদের তো থাকা উচিত ছিলো। তারা তো দেখালেন না!


এতোটা আধুনিকতা তো কাম্য না। আর ক্ষমতার মোহে নিজের পরিচয় ভুলে যাওয়াটাও অনুচিত। নবিজী (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরামকে কি অপমান করা হলো না এর মাধ্যমে? শেষ বিচারে জবাব কি দিবে সালমান? তখন কি আর রাজপুত্র তকমা থাকবে? না ধন দৌলত থাকবে!

আমার তো ক্ষমতা নেই। শুধু লিখে নবিজী (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরামের অপমানের প্রতিবাদ করলাম। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি, যখন ইমাম মাহদি আসবেন, রাজ পরিবারের সাথে যুদ্ধে জরাবেন ও তাদের পরাস্ত করবেন। এরপর জালেমদের বিচার করবেন। জানি না সেই দিন দেখে যেতে পারবো কি না!

Comments

Popular posts from this blog

DevSecOps - Beginners guide

The Cloud Is More Vulnerable Than You Think

DSA