একটি সংশোধন
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সর্বোত্তম যিকর। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/ ৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]
.
এই জিকিরের ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই লিখবো লিখবো করে আর লিখা হচ্ছে না। কিন্তু, আজ বসে পড়লাম লিখতে। কারন, আমি নিজেও এই জিকিরে একটা মারাত্মক ভুল করেছিলাম। তাই আর কেউ যেন ভুল না করে অথবা, ধারনা যেন সংশোধন হয় তাই লিখলাম।
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ " অর্থ, আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই। আসলেই অনেক সুন্দর একটি যিকর। কিন্তু, অনেক হুজুর আছেন, যারা এই বাক্যটিকে ভেঙে যিকর করেন। যেমন "লা ইলাহা" - "ইল্লাল্লাহ"। আলাদা আলাদা করে যিকর করে। আর যিকর নিয়ে বাংলাদেশে চরমোনাই পীর ও হেলিকপ্টার হুজুরের বিতর্ক খুব প্রসিদ্ধ। তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী এই শাহাদাহ ভেঙে পড়লে সমস্যা নেই। কারন হিসেবে তারা ব্যাকরণ দেখাচ্ছে। - কথা কিন্তু ঠিক। " লা ইলাহা" শব্দটি কিন্তু আরবি ব্যাকরণ অনুযায়ী ঠিক আবার "ইল্লাল্লাহ" শব্দটিও আরবি ব্যাকরণ অনুযায়ী ঠিক। আবার অতীতে অনেক পীর - বুজুর্গ এই জিকির ভেঙে করেছিলেন।....
ব্যাপার হচ্ছে, আরবি বুঝে পড়ার কথা ইসলামে বলা হয়েছে। কেনো বলা হয়েছে, তা এখন বুঝতে পারবেন। "লা ইলাহা" শব্দের অর্থ হচ্ছে "আল্লাহ ছাড়া"। এখন শুধু এই শব্দে জিকির করলে কেমন দেখায়? এটা কি জায়েজ হয় আদৌ? ধরুন আপনি যিকির করতে করতে টানা বলতে থাকলেন " আল্লাহ ছাড়া" - "আল্লাহ ছাড়া".... এটার কোন অর্থ থাকছে? অনেকটা বিকৃত লাগে কিন্তু কথাটা! তেমনি, " ইল্লাল্লাহ" অর্থ হচ্ছে "ইলাহ নেই।" - শুধু "ইল্লাল্লাহ" শব্দ দিয়ে জিকির করলে না জেনে কুফর করা হয়ে যায়। কারন, যিকিরকারী না জেনেই বলে দিচ্ছে "ইলাহ নেই"। নাউজুবিল্লাহ। এ জন্য বহু আলেম উলামা এই জিকিরকে ভেঙে পড়তে নিষেধ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন ভেঙে পড়া বিদাত। আবার অনেকেই বলেছেন ভেঙে পড়া কুফরি।
এরপরেও, অনেকেই অনেক বুজুর্গের কথা বলবেন। তারা " লা ইলাহা" ও "ইল্লাল্লাহ" আলাদা আলাদা করে জিকির করেছেন। এই ব্যাপারে, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মরহুম ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর খুব সুন্দর একটি উদাহরণ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন," আমরা কাকে অনুসরণ করবো? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে? নাকি পীর বুজুর্গ কে? আমরা কি করবো? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে শ্রদ্ধা করবো আর পীর বুজুর্গ কে অনুসরণ করবো নাকি পীর বুজুর্গ কে শ্রদ্ধা করবো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে অনুসরণ করবো? উত্তর হবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে অনুসরণ করবো আর পীর বুজুর্গ কে শ্রদ্ধা করবো । তাদের জন্য দোয়া করবো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনোই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যিকর ভেঙে পড়েন নি। তবে তাঁর উম্মত হিসেবে আমরা কেনো পড়বো?
সবশেষে একটা কথাই বলবো, যেহেতু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যিকর ভেঙে পড়া ঠিক না।, সেহেতু আমরাও ভেঙে পড়বো না। বিদাত বা কুফরি যাই হোক। ঠিক নয় যেহেতু, সেহেতু আমরা পড়বো না। তবে বেশিরভাগ উলামার মতে ভেঙে পড়া কুফরি। আর কুফরি করার পরিনাম কি? একজন মুসলিম হিসেবে সবারই জানা। দেখুন, আমরা কিন্তু আল্লাহর ইবাদতের লক্ষেই যিকর করছি। অথচ, না জেনে ও কিছু পন্ডিতি করার জন্যে আমরা কুফরি করে ফেলছি।
ইনশাআল্লাহ, আমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যিকর ভেঙে না পিড়ে সম্পূর্ণ পড়বো। আল্লাহ আমাদের সমস্ত কুফরি থেকে রক্ষা করুক। আমিন।
-- বারাকাল্লাহ ফিকুম।
>> Faaz
.
এই জিকিরের ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই লিখবো লিখবো করে আর লিখা হচ্ছে না। কিন্তু, আজ বসে পড়লাম লিখতে। কারন, আমি নিজেও এই জিকিরে একটা মারাত্মক ভুল করেছিলাম। তাই আর কেউ যেন ভুল না করে অথবা, ধারনা যেন সংশোধন হয় তাই লিখলাম।
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ " অর্থ, আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই। আসলেই অনেক সুন্দর একটি যিকর। কিন্তু, অনেক হুজুর আছেন, যারা এই বাক্যটিকে ভেঙে যিকর করেন। যেমন "লা ইলাহা" - "ইল্লাল্লাহ"। আলাদা আলাদা করে যিকর করে। আর যিকর নিয়ে বাংলাদেশে চরমোনাই পীর ও হেলিকপ্টার হুজুরের বিতর্ক খুব প্রসিদ্ধ। তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী এই শাহাদাহ ভেঙে পড়লে সমস্যা নেই। কারন হিসেবে তারা ব্যাকরণ দেখাচ্ছে। - কথা কিন্তু ঠিক। " লা ইলাহা" শব্দটি কিন্তু আরবি ব্যাকরণ অনুযায়ী ঠিক আবার "ইল্লাল্লাহ" শব্দটিও আরবি ব্যাকরণ অনুযায়ী ঠিক। আবার অতীতে অনেক পীর - বুজুর্গ এই জিকির ভেঙে করেছিলেন।....
ব্যাপার হচ্ছে, আরবি বুঝে পড়ার কথা ইসলামে বলা হয়েছে। কেনো বলা হয়েছে, তা এখন বুঝতে পারবেন। "লা ইলাহা" শব্দের অর্থ হচ্ছে "আল্লাহ ছাড়া"। এখন শুধু এই শব্দে জিকির করলে কেমন দেখায়? এটা কি জায়েজ হয় আদৌ? ধরুন আপনি যিকির করতে করতে টানা বলতে থাকলেন " আল্লাহ ছাড়া" - "আল্লাহ ছাড়া".... এটার কোন অর্থ থাকছে? অনেকটা বিকৃত লাগে কিন্তু কথাটা! তেমনি, " ইল্লাল্লাহ" অর্থ হচ্ছে "ইলাহ নেই।" - শুধু "ইল্লাল্লাহ" শব্দ দিয়ে জিকির করলে না জেনে কুফর করা হয়ে যায়। কারন, যিকিরকারী না জেনেই বলে দিচ্ছে "ইলাহ নেই"। নাউজুবিল্লাহ। এ জন্য বহু আলেম উলামা এই জিকিরকে ভেঙে পড়তে নিষেধ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন ভেঙে পড়া বিদাত। আবার অনেকেই বলেছেন ভেঙে পড়া কুফরি।
এরপরেও, অনেকেই অনেক বুজুর্গের কথা বলবেন। তারা " লা ইলাহা" ও "ইল্লাল্লাহ" আলাদা আলাদা করে জিকির করেছেন। এই ব্যাপারে, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মরহুম ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর খুব সুন্দর একটি উদাহরণ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন," আমরা কাকে অনুসরণ করবো? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে? নাকি পীর বুজুর্গ কে? আমরা কি করবো? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে শ্রদ্ধা করবো আর পীর বুজুর্গ কে অনুসরণ করবো নাকি পীর বুজুর্গ কে শ্রদ্ধা করবো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে অনুসরণ করবো? উত্তর হবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে অনুসরণ করবো আর পীর বুজুর্গ কে শ্রদ্ধা করবো । তাদের জন্য দোয়া করবো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনোই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যিকর ভেঙে পড়েন নি। তবে তাঁর উম্মত হিসেবে আমরা কেনো পড়বো?
সবশেষে একটা কথাই বলবো, যেহেতু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যিকর ভেঙে পড়া ঠিক না।, সেহেতু আমরাও ভেঙে পড়বো না। বিদাত বা কুফরি যাই হোক। ঠিক নয় যেহেতু, সেহেতু আমরা পড়বো না। তবে বেশিরভাগ উলামার মতে ভেঙে পড়া কুফরি। আর কুফরি করার পরিনাম কি? একজন মুসলিম হিসেবে সবারই জানা। দেখুন, আমরা কিন্তু আল্লাহর ইবাদতের লক্ষেই যিকর করছি। অথচ, না জেনে ও কিছু পন্ডিতি করার জন্যে আমরা কুফরি করে ফেলছি।
ইনশাআল্লাহ, আমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যিকর ভেঙে না পিড়ে সম্পূর্ণ পড়বো। আল্লাহ আমাদের সমস্ত কুফরি থেকে রক্ষা করুক। আমিন।
-- বারাকাল্লাহ ফিকুম।
>> Faaz
Comments
Post a Comment