আধুনিক বিজ্ঞানের ওপিঠ

শিক্ষিত পাগল কাদের বলাহয় জানেন? বিজ্ঞানীদের! কেন বলা হয় জানেন? - বলছি! শুনুন.....
.
বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস গোসল করার সময় তাঁর রিসার্চের একটি জটিল তথ্য মিলিয়ে ফেলেন, যার ফলে তিনি উলঙ্গ হয়েই রাজ দরবারে দৌড়ে যান তাঁর তথ্য রাজাকে শোনাতে! - এটাতো সাধারণ একটি ব্যাপার।
.
এনাটমির জনক বলাহয় আন্দ্রেস ভ্যাসিলাস। তার খুব ইচ্ছা ছিলো মানব দেহের ভেতরের অংশ গুলো কেমন হয়, তা জানার। তিনি ঠিক করলেন যখনই কেউ মারা যাবে, তিনি তার শরীর কেটে দেখবেন। -- এরপর তিনি তাই করলেন। যখনই কেউ মারা যেত, হাতে একটি ছোরা নিয়ে চলে যেতেন। লাস দাফনের পর তিনি সে লাশ গুলোকে কাটতেন আর ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলো দেখতেন আর নোট করতেন! তিনি প্রত্যেকবারই ধরা খেতেন আর গণধোলাইয় খেতেন। সবশেষে তাঁকে গ্রাম থেকে বেড় করে দেয়া হয়। কিন্তু, অন্য গ্রামে গিয়েও তিনি একই কাজ করতেন! তাঁর এই একরোখা পাগলামির জন্যই তাকে আধুনিক এনাটমির জনক বলাহয়।
.
এই পাগলামির চেয়েও আরো ভয়ানক পাগলামি করেছিলেন দুইজন বিজ্ঞানী!......
.
পিয়েরে কুরী ও মেরী কুরী! রেডিয়াম কে ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য ব্যাবহার করতে চেয়েছিলেন। এর জন্য এর তেজস্ক্রিয়তা জানা দরকার ছিলো। তাই  পিয়েরে কুরি নিজের হাতে ঢেলে দেন এই রেডিয়াম। যার ফলে তার হাতের অনেকটাই পুরে যায়। যার ফলে আবিষ্কার হয় এই ক্যান্সারের নিরাময়ের জন্য কেমোথেরাপি, যাতে ব্যাবহার করা হয় রেডিয়াম। যাকে বলে শাপে বর হওয়া।
.
এবার, এযাবৎ কালের সবচেয়ে ভয়াবহ পাগলামির কথা বলবো......
.
সায়ানাইড হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিষের একটি। ইভা ব্রাউন, প্রীতিলতা প্রমুখ ব্যাক্তি সহ বহু ব্যাক্তি এই সায়ানাইড নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিষের একটি হলো এটি! আর এই শক্তিশালী বিষ আবিষ্কার হয়েছে এক পাগল বিজ্ঞানীর মাধ্যমে। কার্ল উইলিয়াম শীলি এই বিষ আবিষ্কার করেন। তিনি বহু চেষ্টা করে দীর্ঘদিন ধরে রিসার্চ এর পর তিনি এই বিষ আবিষ্কার সম্পন্ন করেন। শুধু বাকি ছিলো এর স্বাদ। কিন্তু তিনি জানতেন এই স্বাদ যদি কেউ আবিষ্কার করতে চান, তবে তিনি আর বেঁচে থাকবেন না! আর কেউ এই বিষ খেতেও চাইবে না! এরপর দীর্ঘ দিন পড়ে রইলো এই রিসার্চ এর ফিনিশিং! সবশেষে ঠিক কলেন, যা হওয়ার হবে। জীবনের এই ডেডিকেটেড আবিষ্কারকে তিনি অপূর্ণ রাখবেন না। - এরপর এক হাতে একটি ড্রপার নিলেন আর অন্য হাতে কলম ধরলেন। যাতে জিহ্বায় বিষ পড়ার সাথে সাথেই তিনি এর স্বাদ টা লিখতে পারেন। - ও হ্যা, এই বিষের তীব্রতা নিয়ে তো কিছুই বলিনাই! এই বিষের তীব্রতা এতটাই যে, এর একফোঁটা জিহ্বায় পড়ার সাথে সাথে মৃত্যু হয়ে যায়। মাত্র কয়েক সেকেন্ড এর মাঝেই ভবলীলা সাঙ্গ! - তো শীলি হাতে ড্রপার ও কলম নিয়ে বসেন। খাতায় "Test option এর" পাশে কলম ধরলেন, জিহ্বায় একফোঁটা বিষ ঢাললেন! তো, এউ বিষ ঢালার সাথে সাথে শুধুমাত্র "S" word টা লেখার পরপরই তার মৃত্যু হয়। বাকিটা আর লিখতে পারেনি। যার কারনে, এই আবিষ্কার অসমাপ্ত রয়ে যায়। কারন,  S তে Sweet ও হয় আবার Sour ও হয়। - এই আবিষ্কার এর পূর্ণতা দেন তার স্ত্রী! তিনি তার স্বামীর এই আবিষ্কার কে পূর্ণতা দিতে পুণঃরায় হাতে বিষ আর কলম নিয়ে বসেন! জিহ্বায় হাল্কা বিষ ঢালেন আর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন! তবে, জানান দিয়ে যান, এই বিষের স্বাদ মিষ্টি। কারন, তার স্বামীর লিখে যাওয়া S এর পর তিনি শুধু W টুকুই লিখতে পেরেছিলেন। আর Sw তে হয় Sweet! Sweet মানে মিষ্টি! আর এই স্বাদের দুটি অক্ষর বেড় করতেই দুই জন তাঁর জীবন দিয়ে দিলেন! আর তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেলাম সবচেয়ে ভয়ানক বিষ! 😂
.
.
আবিষ্কার বহু ত্যাগ আর পরিশ্রম এর বিনিময়ে হয়। আর আমরা শুধু এর ব্যাবহার করি আর নিন্দা করি! অথচ একবারও কি ভাবি? কোন একটা জিনিস বানাতে কতটা শ্রম দিতে হয়!!
.
তবে এটা সত্য! কোন কিছু আবিষ্কার করতে বা, বানাতে লাগবে আপনার জেদ আর পাগলামি! আপনার অহংকার আপনাকে ইগোইস্টিক বানাবে, কামিয়াব নয়! মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে হয়ত উচ্চ সিজিপিএ নিতে পারবেন! কিন্তু, আবিষ্কার সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীদের পাগলামিই এনে দিয়েছে আজকের আধুনিক বিজ্ঞান!

Comments

Popular posts from this blog

Nest js

Malware Analysis

Internet Computer (ICP) - Blockchain