ঈমানি সীমাবদ্ধতা (পর্বঃ খৃষ্টধর্ম-১)
আলহামদুলিল্লাহ। আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ। ঈমানি সীমাবদ্ধতা নামের এই পর্বে আমরা বিভিন্ন ধর্মের বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে পারবো। যুগে যুগে মানুষ শয়তানের ধোকায় পড়ে বিপথে গেছে। আল্লাহ ব্যাতীত বিভিন্ন দেব-দেবির পূজা শুরু করেছে। আর যা হচ্ছে প্রকাশ্য শিরক। আর মহান আল্লাহর সাথে শিরক করা হচ্ছে শিরকে আকবার। যা আল্লাহ কখনোই ক্ষমা করবেন না। অবশ্য, তাওবা করে ইসলামে দাখিল হলে সেটা আলাদা কথা। তখন কি হবে সেটা আল্লাহই ভালো জানেন।
আমার লেখার বিভিন্ন পর্বে খৃষ্টান ধর্মালম্বীর ঈমানের কিছু বুনিয়াদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানবো। তাদের বিশ্বাস, ভ্রান্ত ধারনা, তাদের ধর্মের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে লিখবো ইনশাআল্লাহ। বিশেষত বাইবেল রচনা ও এর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা এবং তাদের বিশ্বাসের কিছু ভুল এবং কোরঅান হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ও আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা শ্রেষ্ঠ বাণী, এই বিষয়ে লিখবো ইনশাআল্লাহ।
খৃষ্টান ধর্মালম্বীরা বিশ্বাস করে হযরত ঈসা (আ.) হচ্ছেন আল্লাহর সন্তান (নাউযুবিল্লাহ)। আর তাদের ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে বাইবেল। বাইবেল এর দুটি অংশ। একটি "ওল্ড টেস্টামেন্ট " এবং আরেকটি "নিউ টেস্টামেন্ট"। খৃষ্টানদের বিশ্বাস অনুসারে বাইবেল কিছু লেখক দারা লেখা হয়েছে! লেখক দের নাম নিম্নে তুলে ধরছি..... (Based on google)
> Mosses
>Joshua
>Job
>Samuel
>David
>Korah
>Asaph
>Heman
>Ethan
>Hezekiah
> King Solomon
>Agur
>Lemuel
>Ezrah
>Mordecai
>Luke
>John
>Paul
>Apollos
---- তাঁরাই হচ্ছেন বাইবেল এর লেখক।
এই বাইবেল বর্তমানে সবার হাতে প্রসিদ্ধ ভাবে আসার আগে পূর্বে বহুবার সংস্কার হয়েছে। বহু সংশোধন ও পরিমার্জনের পর বর্তমান বাইবেলে উপনীত হয়েছে। পরে গসপেল সহ আরো অনেক বিষয়ই সংশোধন করা হয়। যদিও ওল্ড টেস্টামেন্ট প্রায় অনেকটাই আগের মত রয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে চতুর্থ শতাব্দীতে বাইবেলকে পরিমার্জিত করে চার ধাপে একত্রে ক্যানন হিসেবে প্রকাশ করেন। যাইহোক, সকল ব্যাপারে তথ্য গুলোই একের পর এক ক্রমানুসারে তুলে ধরা হবে।
ওল্ড টেস্টামেন্ট এর প্রথমিক ধারণাঃ ওল্ড টেস্টামেন্ট হচ্ছে বাইবেলের প্রথম অংশ। ইহুদিদের হিব্রু বাইবেল এবং খৃষ্টান দের ওল্ড টেস্টামেন্ট এর পার্থক্য শুধুমাত্র কয়েকটি অধ্যায়। কিন্তু, ২৯টি খন্ডের সব গুলোই মূসা (আ.) এর পাঁচটি বিষয়ের উপর লেখা হয়েছে। পাঁচটি বিষয় হচ্ছেঃ জেনোসিস, এক্সোডাস, লোভিটিকাস, নাম্বারস ও ডিউটারোনমি। এই হলো পাঁচটি বিষয়।
ওল্ড টেস্টামেন্ট পাঁচটি স্তম্ভের উপর লেখা একটি দৈর্ঘ্য, আকার ও প্রকারের ভিত্তিতে সংকলন। এগুলো মূলত মৌখিক প্রবাদের ভিত্তিতে নয়শ বছর যাবৎ রচনা করা হয়েছে। পরে অবশ্য এগুলোকে বিভিন্ন কারনে সংশোধন করা হয়। আমি আপনাদের আরো পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
মুসা (আ) এর উপর আল্লাহ পাক নাযিল করেছিলেন তাউরাত। তাউরাতের সব গুলো বিষয়বস্তুই হচ্ছে ওল্ড টেস্টামেন্ট। ইহুদি জাতি যেহেতু হযরত মুসা (আ.) এর উম্মত, তাই তাদের ধর্ম গ্রন্থ হচ্ছে এই তাউরাত। তাদের বিভিন্ন বিষয় এখানে উল্লেখ করা আছে। বিশেষত তাদের নির্বাসন সহ থাকতে দেয়ার প্রতিশ্রুতি। আরো বিবিধ ইহুদিবাদী বিষয় এখানে উল্লেখ আছে। আর, এ জন্যই ওল্ড টেস্টামেন্ট সংশোধন এর প্রয়োজন পড়ে৷ হযরত ঈসা (আ.) এর বাণী প্রচারার্থে তারা সেটাকে সংশোধন করে ইহুদিবাদী অনেক কিছুই বাদ দেয়। কিন্তু, এটার বুনিয়াদ হচ্ছে মুসা (আ.) এর পাঁচটি স্তম্ভ।
সত্যি বলতে কি, বাইবেল যখন নাযিল হয়েছিলো, তখন সেটা ঐশী বাণীই ছিলো। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর পক্ষ থেকেই ওহী নাযিল হয়েছিলো। কিন্তু, আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ.) কে আসমানে তুলে নিলে ওহী নাযিল বন্ধ হয়ে যায়। আর যে ইঞ্জিল শরীফ ছিলো, সেটাও কালের বিবর্তনে রহিত হয়ে যায়। ফলে সেটা আর তেমন কাজের ছিলো না। শেষমেশ এটার পুনঃরায় লেখা ও সংশোধন শুরু হয়। ঈসা (আ.) এর আকাশ আরোহনের তিনশত বছর পর্যন্ত এই বাইবেল রচনা চলে। আর, তখনকার মানুষদের মুখে মুখে যেহেতু এই কবিতা, লোককথা আকারে বাইবেলের বিভিন্ন কথা প্রচলিত ছিলো, লেখক গন সেই অনুসারেই বাইবেল রচনা করেন। খৃষ্টান দের বিশ্বাস অনুসারে লেখক গণ হোলি ঘোষ্টের সহায়তায় এই বাইবেল রচনা করেন। কিন্তু, মূল লেখক দের নাম উপরেই উল্লেখ আছে। সংশোধনের পর খৃষ্টান পাদ্রী গন নিউটেস্টামেন্টে অনেক অল্প সংখ্যক বইই বর্তমান রেখেছেন। সেটা পরবর্তী পর্বে লিখবো। ইনশাআল্লাহ।
আমি, একটা জিনিসই বুঝাতে চাচ্ছি, বাইবেল বা, ইঞ্জিল শরীফ আসমানী কিতাব ছিলো। যখন ছিলো তখন প্রসিদ্ধ ছিলো। কিন্তু, পরবর্তীতে সেটা রহিত হয়ে গেছে৷ এখন যেটা আছে সেটা প্রসিদ্ধ নয়। সেটা মানব লিখিত৷ আর মানব রচিত গ্রন্থ কিভাবে ধর্মগ্রন্থ হয়? আরো একটা ব্যাপার। খৃষ্টান পাদ্রীগনের বিশ্বাস তথা মেনে নেয়া বিষয়ের উপর নির্ভর করে ধর্মগ্রন্থ কিভাবে রচিত হয়?! আমার বুঝে আসে না। একটা ব্যাপার দেখুন, খৃষ্টান পাদ্রী গন মেনে নিয়েছেন হিব্রু বাইবেলই তাদের ওল্ড টেস্টামেন্ট। শুধুমাত্র কয়েকটি অধ্যায় সসংশোধন করে তারা সেটাকে বাইবেলের একটি অংশ বলে প্রচার করে দিলো! কিভাবে? এটা ধর্ম বিশ্বাস? আমার প্রশ্ন হচ্ছ ধর্মগ্রন্থ কি? ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে যেটাতে সৃষ্টিকর্তা তাঁর মহাপবিত্র বাণী তার ফেরেশতা বা, কখনো নিজেই কোননা কোন ভাবে তার প্রেরিত পয়গম্বরের নিকট পাঠাবেন। আর সেখানে থাকবে জীবন বিধান। থাকবে শাসন ব্যাবস্থা সহ সমস্ত বিষয়। যার কোন সংস্কার বা, সংশোধন এর প্রয়োজন পড়ে না। যেটাতে মানব লিখিত কোন অংশই থাকবে না। থাকবে শুধু স্রষ্টার মহাপবিত্র বাণী। কিন্তু, বর্তমান এই বাইবেল বহুবার সংস্কার হয়েছে। কারন লেখকের অনেক মনগড়া কথাই এতে লিপিবদ্ধ হয়েছে। যার সংস্কারের দরকার পড়ে, সেটা আবার ধর্মীয় বুনিয়াদ হয় কি করে? এরপর তারা বিশ্বাসই করেনা ঈসা (আ.) এর পর আরো কোন নবী রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন। তারা মানতেই চায়না হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর শেষ নবী, এবং আল কোরআন আমাদের মহাপবিত্র ও আল্লাহর পক্ষ থেকে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ।
যাইহোক, বাকি পর্ব গুলোতে আরো সীমাবদ্ধতা তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ। বিশেষত সেখানে নিউ টেস্টামেন্ট, গসপেল, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও আমাদের ধর্মগ্রন্থের সাথে একটি ছোট্ট তুলনা তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ। সাথে থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
সময় নিয়ে পড়ার জন্য জাযাকাল্লাহ।
>>Faaz
আমার লেখার বিভিন্ন পর্বে খৃষ্টান ধর্মালম্বীর ঈমানের কিছু বুনিয়াদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানবো। তাদের বিশ্বাস, ভ্রান্ত ধারনা, তাদের ধর্মের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে লিখবো ইনশাআল্লাহ। বিশেষত বাইবেল রচনা ও এর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা এবং তাদের বিশ্বাসের কিছু ভুল এবং কোরঅান হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ও আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা শ্রেষ্ঠ বাণী, এই বিষয়ে লিখবো ইনশাআল্লাহ।
খৃষ্টান ধর্মালম্বীরা বিশ্বাস করে হযরত ঈসা (আ.) হচ্ছেন আল্লাহর সন্তান (নাউযুবিল্লাহ)। আর তাদের ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে বাইবেল। বাইবেল এর দুটি অংশ। একটি "ওল্ড টেস্টামেন্ট " এবং আরেকটি "নিউ টেস্টামেন্ট"। খৃষ্টানদের বিশ্বাস অনুসারে বাইবেল কিছু লেখক দারা লেখা হয়েছে! লেখক দের নাম নিম্নে তুলে ধরছি..... (Based on google)
> Mosses
>Joshua
>Job
>Samuel
>David
>Korah
>Asaph
>Heman
>Ethan
>Hezekiah
> King Solomon
>Agur
>Lemuel
>Ezrah
>Mordecai
>Luke
>John
>Paul
>Apollos
---- তাঁরাই হচ্ছেন বাইবেল এর লেখক।
এই বাইবেল বর্তমানে সবার হাতে প্রসিদ্ধ ভাবে আসার আগে পূর্বে বহুবার সংস্কার হয়েছে। বহু সংশোধন ও পরিমার্জনের পর বর্তমান বাইবেলে উপনীত হয়েছে। পরে গসপেল সহ আরো অনেক বিষয়ই সংশোধন করা হয়। যদিও ওল্ড টেস্টামেন্ট প্রায় অনেকটাই আগের মত রয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে চতুর্থ শতাব্দীতে বাইবেলকে পরিমার্জিত করে চার ধাপে একত্রে ক্যানন হিসেবে প্রকাশ করেন। যাইহোক, সকল ব্যাপারে তথ্য গুলোই একের পর এক ক্রমানুসারে তুলে ধরা হবে।
ওল্ড টেস্টামেন্ট এর প্রথমিক ধারণাঃ ওল্ড টেস্টামেন্ট হচ্ছে বাইবেলের প্রথম অংশ। ইহুদিদের হিব্রু বাইবেল এবং খৃষ্টান দের ওল্ড টেস্টামেন্ট এর পার্থক্য শুধুমাত্র কয়েকটি অধ্যায়। কিন্তু, ২৯টি খন্ডের সব গুলোই মূসা (আ.) এর পাঁচটি বিষয়ের উপর লেখা হয়েছে। পাঁচটি বিষয় হচ্ছেঃ জেনোসিস, এক্সোডাস, লোভিটিকাস, নাম্বারস ও ডিউটারোনমি। এই হলো পাঁচটি বিষয়।
ওল্ড টেস্টামেন্ট পাঁচটি স্তম্ভের উপর লেখা একটি দৈর্ঘ্য, আকার ও প্রকারের ভিত্তিতে সংকলন। এগুলো মূলত মৌখিক প্রবাদের ভিত্তিতে নয়শ বছর যাবৎ রচনা করা হয়েছে। পরে অবশ্য এগুলোকে বিভিন্ন কারনে সংশোধন করা হয়। আমি আপনাদের আরো পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
মুসা (আ) এর উপর আল্লাহ পাক নাযিল করেছিলেন তাউরাত। তাউরাতের সব গুলো বিষয়বস্তুই হচ্ছে ওল্ড টেস্টামেন্ট। ইহুদি জাতি যেহেতু হযরত মুসা (আ.) এর উম্মত, তাই তাদের ধর্ম গ্রন্থ হচ্ছে এই তাউরাত। তাদের বিভিন্ন বিষয় এখানে উল্লেখ করা আছে। বিশেষত তাদের নির্বাসন সহ থাকতে দেয়ার প্রতিশ্রুতি। আরো বিবিধ ইহুদিবাদী বিষয় এখানে উল্লেখ আছে। আর, এ জন্যই ওল্ড টেস্টামেন্ট সংশোধন এর প্রয়োজন পড়ে৷ হযরত ঈসা (আ.) এর বাণী প্রচারার্থে তারা সেটাকে সংশোধন করে ইহুদিবাদী অনেক কিছুই বাদ দেয়। কিন্তু, এটার বুনিয়াদ হচ্ছে মুসা (আ.) এর পাঁচটি স্তম্ভ।
সত্যি বলতে কি, বাইবেল যখন নাযিল হয়েছিলো, তখন সেটা ঐশী বাণীই ছিলো। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর পক্ষ থেকেই ওহী নাযিল হয়েছিলো। কিন্তু, আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ.) কে আসমানে তুলে নিলে ওহী নাযিল বন্ধ হয়ে যায়। আর যে ইঞ্জিল শরীফ ছিলো, সেটাও কালের বিবর্তনে রহিত হয়ে যায়। ফলে সেটা আর তেমন কাজের ছিলো না। শেষমেশ এটার পুনঃরায় লেখা ও সংশোধন শুরু হয়। ঈসা (আ.) এর আকাশ আরোহনের তিনশত বছর পর্যন্ত এই বাইবেল রচনা চলে। আর, তখনকার মানুষদের মুখে মুখে যেহেতু এই কবিতা, লোককথা আকারে বাইবেলের বিভিন্ন কথা প্রচলিত ছিলো, লেখক গন সেই অনুসারেই বাইবেল রচনা করেন। খৃষ্টান দের বিশ্বাস অনুসারে লেখক গণ হোলি ঘোষ্টের সহায়তায় এই বাইবেল রচনা করেন। কিন্তু, মূল লেখক দের নাম উপরেই উল্লেখ আছে। সংশোধনের পর খৃষ্টান পাদ্রী গন নিউটেস্টামেন্টে অনেক অল্প সংখ্যক বইই বর্তমান রেখেছেন। সেটা পরবর্তী পর্বে লিখবো। ইনশাআল্লাহ।
আমি, একটা জিনিসই বুঝাতে চাচ্ছি, বাইবেল বা, ইঞ্জিল শরীফ আসমানী কিতাব ছিলো। যখন ছিলো তখন প্রসিদ্ধ ছিলো। কিন্তু, পরবর্তীতে সেটা রহিত হয়ে গেছে৷ এখন যেটা আছে সেটা প্রসিদ্ধ নয়। সেটা মানব লিখিত৷ আর মানব রচিত গ্রন্থ কিভাবে ধর্মগ্রন্থ হয়? আরো একটা ব্যাপার। খৃষ্টান পাদ্রীগনের বিশ্বাস তথা মেনে নেয়া বিষয়ের উপর নির্ভর করে ধর্মগ্রন্থ কিভাবে রচিত হয়?! আমার বুঝে আসে না। একটা ব্যাপার দেখুন, খৃষ্টান পাদ্রী গন মেনে নিয়েছেন হিব্রু বাইবেলই তাদের ওল্ড টেস্টামেন্ট। শুধুমাত্র কয়েকটি অধ্যায় সসংশোধন করে তারা সেটাকে বাইবেলের একটি অংশ বলে প্রচার করে দিলো! কিভাবে? এটা ধর্ম বিশ্বাস? আমার প্রশ্ন হচ্ছ ধর্মগ্রন্থ কি? ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে যেটাতে সৃষ্টিকর্তা তাঁর মহাপবিত্র বাণী তার ফেরেশতা বা, কখনো নিজেই কোননা কোন ভাবে তার প্রেরিত পয়গম্বরের নিকট পাঠাবেন। আর সেখানে থাকবে জীবন বিধান। থাকবে শাসন ব্যাবস্থা সহ সমস্ত বিষয়। যার কোন সংস্কার বা, সংশোধন এর প্রয়োজন পড়ে না। যেটাতে মানব লিখিত কোন অংশই থাকবে না। থাকবে শুধু স্রষ্টার মহাপবিত্র বাণী। কিন্তু, বর্তমান এই বাইবেল বহুবার সংস্কার হয়েছে। কারন লেখকের অনেক মনগড়া কথাই এতে লিপিবদ্ধ হয়েছে। যার সংস্কারের দরকার পড়ে, সেটা আবার ধর্মীয় বুনিয়াদ হয় কি করে? এরপর তারা বিশ্বাসই করেনা ঈসা (আ.) এর পর আরো কোন নবী রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন। তারা মানতেই চায়না হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর শেষ নবী, এবং আল কোরআন আমাদের মহাপবিত্র ও আল্লাহর পক্ষ থেকে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ।
যাইহোক, বাকি পর্ব গুলোতে আরো সীমাবদ্ধতা তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ। বিশেষত সেখানে নিউ টেস্টামেন্ট, গসপেল, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও আমাদের ধর্মগ্রন্থের সাথে একটি ছোট্ট তুলনা তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ। সাথে থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
সময় নিয়ে পড়ার জন্য জাযাকাল্লাহ।
>>Faaz
Comments
Post a Comment