ঈমানের বুনিয়াদ ( Part: খৃষ্টঃ)
কলি যুগে যখন মানব সভ্যতার উন্নয়নের স্বর্ন শেখরে আরোহন করেছে, সেখানে বাধা প্রতিবন্ধকতা আসে দ্বীন ব্যাবস্থার। একেক জন একেক বিশ্বাসে বিশ্বাসী। বিশ্বাস যার যেরকম, সমস্যা নেই। সমস্যা উগ্রবাদী মনোভাবের। যাদের প্রভাব বেশি, তারা তাদের দেশের সংখ্যালঘুদের উপর সীমাহীন নির্যাতন করে থাকে! যেমনটা দেখতে পারি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে, মায়ানমার! সেখানে কি সীমাহীন নির্যাতনই না সহ্য করতে হয় মুসলিমদের। সত্যি বলতে কি! শুধু ভারত, মায়ানমার নয়! সারা বিশ্বেই কোন না কোন ভাবে মুসলিমরা নির্যাতিত। কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্যের মসজিদে মুসলিম দের হামলা, এর আগে নিউজিল্যান্ডে, ফিলিস্তিনে ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্য নির্যাতনের শিকার হচ্ছে মুসলিমরা। সেটা ইহুদি কর্তৃক। খোদ ইসলামিক রাষ্ট্র গুলোতেই মুসলিম দের উপর সীমাহীন নির্যাতন চলে। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে ইয়েমেন। যাইহোক.... মূল প্রসঙ্গে আসি। প্রসঙ্গ হচ্ছে ঈমান। মানে বিশ্বাস। যার যার বিশ্বাস যার যার জন্য। কোন ধরা বাধা নেই। যে যার মত ধর্ম পালন করবে। কোন বাধা নেই। বাধা কখন আসে জানেন? যখন উস্কানি দেয়া হয়! উস্কানি খুব খারাপ একটা জিনিস।
অনেক বাজে বকলাম। এবার মূল বিষয়ে আসি। আমি আমার "ঈমানের বুনিয়াদ" নামের এই লেখা গুলোতে বিভিন্ন ধর্মের বিশ্বাস ও তাদের ধর্মগ্রন্থের সাথে পবিত্র কোরঅানের তুলনা দেখাবো। লেখায় সরাসরি পার্থক্য থাকবে না। যাতে করে কারো অনুভূতিতে আঘাত না লাগে! আমি স্টাডি করে যা পাবো, সবটাই এখানে তুলে ধরবো। লেখার সব ফেবুতে না থাকলেও peaceinislam.com ও www.blogspot.com/tareqaronnyo এ পাবেন ইনশাআল্লাহ। অনুভূতির ব্যাপার আছে।
প্রথমেই আসে খৃষ্ট ধর্ম। তাদের মূল ধর্মগ্রন্থের নাম বাইবেল। বাইবেলের দুটি পার্ট - ১. ওল্ড টেস্টামেন্ট ২. নিউ টেস্টামেন্ট। ওল্ড টেস্টামেন্ট হচ্ছে ইহুদি জাতির ধর্মগ্রন্থ হিব্রু বাইবেলের ২৪টি বইয়ের উপর লেখা। কিন্তু পার্থক্য মাত্র কয়েকটি অধ্যায়ের। মূলত হযরত মুসা (আ.) এর (বাইবেল অনুযায়ী Moses) এর পাঁচটি বিষয়ের উপর ওল্ড টেস্টামেন্ট লেখা। পাঁচটি বিষয় হচ্ছে - ১। জেনেসিস ২। এক্সোডাস ৩। লোভিটিকাস ৪। নাম্বারস ৫। ডিওটারোনমি। এই হলো পাঁচটি বিষয়। যাইহোক, ওল্ড টেস্টামেন্ট আর নিউ টেস্টামেন্ট। দুইটিই মানব লিখিত। ঐশী বাণী হলেও মানুষেরা রচনা করেছেন হোলি ঘোষ্টের সহায়তায়, যাকে আমরা জিবরাইল (আ.) বলে থাকি। তিনি সে সব লেখক দের স্বপ্ন যোগে সমস্ত বিষয়াদি ব্যাখ্যা করেছেন। আর সে অনুযায়ী লেখকেরা ঐশী বাণী লিখেছেন। যাক, বাইবেলের ২১ জন লেখকের নাম নিম্নে তুলে ধরছি..... (Based on google)
> Mosses
>Joshua
>Job
>Samuel
>David
>Korah
>Asaph
>Heman
>Ethan
>Hezekiah
> King Solomon
>Agur
>Lemuel
>Ezrah
>Mordecai
>Luke
>John
>Paul
>Apollos
আমাদের ধর্মে যেসব নবীর নাম উল্লেখ আছে, তাদের নিকটে আসা সমস্ত আসমানী কিতাব ও সহীফার বেসমেন্ট হচ্ছে ওটা। শুদ্ধ কিতাব অনেক আগেই রহিত হয়ে গেছে। আমার লেখার সব গুলো পার্ট পড়লেই বুঝতে পারবেন।......
Comments
Post a Comment