নাস্তিকদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের ব্যাপারে কিছু কথা
নাস্তিকদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের ব্যাপারে কিছু কথা
কথা হচ্ছে করোনার মুক্তিতে বিজ্ঞান একা লড়ছে। মসজিদ নয়। তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মসজিদ কি গবেষণার? নাকি স্রষ্টার উপাসনালয়? কোথায় কি করা লাগে এই বোধ শক্তিটা নাস্তিক সমাজের মাঝে নাই দেখি। মসজিদে কি আমরা গিয়ে গবেষণা করি? না করি না। আমরা নামায আদায় করি, স্রষ্টার ইবাদাত করি। কিন্তু এই ইবাদাত করাটাও এই করোনা এপিডেমিক এর জন্য বন্ধ। আমরা মসজিদে যেতে পারছি না। ইবাদাত করতে পারছি না। আবার অনেকে বলবে যে এটা অন্ধ বিশ্বাসী দের জন্য বলা হয়েছে। বিজ্ঞান সম্মত হওয়ার জন্য সামান্য ভাবে একটু খোঁচা দেয়া হয়েছে।
তো, যারা এই খোঁচাটা দিয়েছে, তারা কতটা বিজ্ঞান সম্মত এটাই ভাবনার বিষয়। একটা উদাহরণ দেই। অনলাইন ব্লগের দুনিয়ায় নাস্তিকদের অন্যতম আদর্শ হচ্ছে ব্লগার অভিজিৎ এর মত কিছু নাস্তিক। যারা কিনা অন্য ধর্মালম্বীদের গালি দেয়ার মাধ্যমে নিজেদের বিজ্ঞানমনস্ক ভাবে। বিশেষত ইসলাম ধর্মকে গালি দিয়ে। এদের কথিত বিজ্ঞানসম্মত মনোভাবের অপর পৃষ্ঠায় যে চরম মুর্খতা বিরাজ করতো, তা এরা জানে না। অবশ্য নাস্তিক মানেই মুর্খ। যারা খুব ক্ষুদ্র জ্ঞানকে বিজ্ঞানসম্মত মনোভাব বলে সবার সামনে জাহির করে। অথচ বাস্তবে কিছুই জানে না।
একটা ছবি দিয়েছি। যেখানে বলা হয়েছে যে, করোনা থেকে যদি বেঁচেও যাই তবে এটা শুধু মাত্র বিজ্ঞানের জন্যই সম্ভব হয়েছে। বিজ্ঞান একা লড়েছে এই করোনা দমনে। এই চরম হাস্যকর ছবিটা যারা বানাইসে, তারা নিশ্চিত ভাবে নাস্তিক। কারন, নাস্তিক ব্যাতীত ধর্মানুভুতিতে আঘাত করার মনমানুষিকতা আর কারো হতে পারে না। তবে এই নাস্তিক নিজেকে বিজ্ঞান সম্মত বলে দাবি করলেও আদতে গন্ড মুর্খ। কারন মসজিদ ও গবেষণাগার এর পার্থক্য যে বুঝে না, সে মুর্খ ছাড়া আর কিছু না।
আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন! ইসলাম কি কখনো চিকিৎসক এর কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে না করেছে? উত্তর হচ্ছে, না। বরং আমাদের নবিজী (সা.) চিকিৎসক এর কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ করো, কেননা আল্লাহ এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। শুধু বার্ধক্যরোগ ছাড়া।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৫৫)।
মার্কিন গবেষকরা বলছেন করোনা থেকে বেঁচে থাকতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথে চলতে। তাঁর সুন্নাহ অনুসরণ করতে।(সূত্রঃ কালের কন্ঠ, ইনকিলাব)। তো, যারা গবেষক তারা ইসলামকে অনুসরণ করতে বলছে, তাদের কোন সমস্যা নাই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশেরই কিছু কথিত নাস্তিক তথা ইসলাম বিদ্বেষী মুর্খের। এরা প্রত্যক্ষভাবে বিজ্ঞানের কথা বললেও পরোক্ষ ভাবে ইসলামকেই অপমান করে।
আর, এরা যে ইসলাম নিয়ে কথা বলে, আদৌ কি এরা ইসলাম সম্পর্কে জানে? না জানে না। আর জানে না বিধায় এরা নাস্তিক।
আমি একটা কথাই বলবো, আগে বিজ্ঞান কি সেটা ভালো করে জানো। মজজিদ আর গবেষণাগার এর পার্থক্য চেনো। তারপর খোঁচা দিতে আসো৷ এসব বিতর্কিত ছবি বানানোর অন্যতম কারন হচ্ছে নিজেকে সেলিব্রিটি বানানো, আর কিছু নয়।
এদের কথাগুলো এভাবেও হতে পারতো,
“যদি বেঁচে যাও এবারের মতো
যদি কেটে যায় মৃত্যু সংশয়।
তবে জেনে রেখো তুমি অমর নও
শুকরিয়া জানাও গিয়ে মসজিদ-মন্দিরে
সেই সৃষ্টি কর্তার কাছে!
যার কাছে তোমাকে ফিরতেই হবে।“
আরে ভাই, বিজ্ঞান স্রষ্টার সৃষ্টি। আর সেটা তিনি পবিত্র কোরআনে তুলে ধরেছেন। মসজিদে সেই কোরআনের আলোচনা। স্রষ্টার ইবাদাত করা হয়। দুটির পার্থক্য খুঁজতে যাবেন না। এতে আপনি মুর্খ প্রমাণিত হবেন। কারন, এমন কোন বিজ্ঞান নেই যেটা মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেন নি এবং সেটা কোরআনে ব্যাখ্যা করেন নি।
আর করোনার সাথে মসজিদের লড়ার কথা বলছেন? আগে ভালো ভাবে জানুন, কোথায় কি করা লাগে। গবেষণাগারে কি করা হয় আর মসজিদে কি করা হয়।
আমিই গুছিয়ে দিচ্ছি। কারন, আপনারা মাথা মোটা বিধায়ই আপনারা নাস্তিক হয়েছেন। গবেষণাগারে আল্লাহর দেয়া নিয়ামতেরই ব্যাবহার করে করোনার ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হবে। আর এই মহামারী থেকে বেঁচে যাওয়ার পর মসজিদে গিয়েই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করবো। মসজিদ ইবাদাতের জন্য, গবেষণাগার নয়।
আল্লাহ আপনাদের বুঝার তাউফিক দান করুক। এই মহামারী থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক। আমিন।
লেখাঃ তারেক অরণ্য।
কথা হচ্ছে করোনার মুক্তিতে বিজ্ঞান একা লড়ছে। মসজিদ নয়। তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মসজিদ কি গবেষণার? নাকি স্রষ্টার উপাসনালয়? কোথায় কি করা লাগে এই বোধ শক্তিটা নাস্তিক সমাজের মাঝে নাই দেখি। মসজিদে কি আমরা গিয়ে গবেষণা করি? না করি না। আমরা নামায আদায় করি, স্রষ্টার ইবাদাত করি। কিন্তু এই ইবাদাত করাটাও এই করোনা এপিডেমিক এর জন্য বন্ধ। আমরা মসজিদে যেতে পারছি না। ইবাদাত করতে পারছি না। আবার অনেকে বলবে যে এটা অন্ধ বিশ্বাসী দের জন্য বলা হয়েছে। বিজ্ঞান সম্মত হওয়ার জন্য সামান্য ভাবে একটু খোঁচা দেয়া হয়েছে।
তো, যারা এই খোঁচাটা দিয়েছে, তারা কতটা বিজ্ঞান সম্মত এটাই ভাবনার বিষয়। একটা উদাহরণ দেই। অনলাইন ব্লগের দুনিয়ায় নাস্তিকদের অন্যতম আদর্শ হচ্ছে ব্লগার অভিজিৎ এর মত কিছু নাস্তিক। যারা কিনা অন্য ধর্মালম্বীদের গালি দেয়ার মাধ্যমে নিজেদের বিজ্ঞানমনস্ক ভাবে। বিশেষত ইসলাম ধর্মকে গালি দিয়ে। এদের কথিত বিজ্ঞানসম্মত মনোভাবের অপর পৃষ্ঠায় যে চরম মুর্খতা বিরাজ করতো, তা এরা জানে না। অবশ্য নাস্তিক মানেই মুর্খ। যারা খুব ক্ষুদ্র জ্ঞানকে বিজ্ঞানসম্মত মনোভাব বলে সবার সামনে জাহির করে। অথচ বাস্তবে কিছুই জানে না।
একটা ছবি দিয়েছি। যেখানে বলা হয়েছে যে, করোনা থেকে যদি বেঁচেও যাই তবে এটা শুধু মাত্র বিজ্ঞানের জন্যই সম্ভব হয়েছে। বিজ্ঞান একা লড়েছে এই করোনা দমনে। এই চরম হাস্যকর ছবিটা যারা বানাইসে, তারা নিশ্চিত ভাবে নাস্তিক। কারন, নাস্তিক ব্যাতীত ধর্মানুভুতিতে আঘাত করার মনমানুষিকতা আর কারো হতে পারে না। তবে এই নাস্তিক নিজেকে বিজ্ঞান সম্মত বলে দাবি করলেও আদতে গন্ড মুর্খ। কারন মসজিদ ও গবেষণাগার এর পার্থক্য যে বুঝে না, সে মুর্খ ছাড়া আর কিছু না।
আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন! ইসলাম কি কখনো চিকিৎসক এর কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে না করেছে? উত্তর হচ্ছে, না। বরং আমাদের নবিজী (সা.) চিকিৎসক এর কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ করো, কেননা আল্লাহ এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। শুধু বার্ধক্যরোগ ছাড়া।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৫৫)।
মার্কিন গবেষকরা বলছেন করোনা থেকে বেঁচে থাকতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথে চলতে। তাঁর সুন্নাহ অনুসরণ করতে।(সূত্রঃ কালের কন্ঠ, ইনকিলাব)। তো, যারা গবেষক তারা ইসলামকে অনুসরণ করতে বলছে, তাদের কোন সমস্যা নাই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশেরই কিছু কথিত নাস্তিক তথা ইসলাম বিদ্বেষী মুর্খের। এরা প্রত্যক্ষভাবে বিজ্ঞানের কথা বললেও পরোক্ষ ভাবে ইসলামকেই অপমান করে।
আর, এরা যে ইসলাম নিয়ে কথা বলে, আদৌ কি এরা ইসলাম সম্পর্কে জানে? না জানে না। আর জানে না বিধায় এরা নাস্তিক।
আমি একটা কথাই বলবো, আগে বিজ্ঞান কি সেটা ভালো করে জানো। মজজিদ আর গবেষণাগার এর পার্থক্য চেনো। তারপর খোঁচা দিতে আসো৷ এসব বিতর্কিত ছবি বানানোর অন্যতম কারন হচ্ছে নিজেকে সেলিব্রিটি বানানো, আর কিছু নয়।
এদের কথাগুলো এভাবেও হতে পারতো,
“যদি বেঁচে যাও এবারের মতো
যদি কেটে যায় মৃত্যু সংশয়।
তবে জেনে রেখো তুমি অমর নও
শুকরিয়া জানাও গিয়ে মসজিদ-মন্দিরে
সেই সৃষ্টি কর্তার কাছে!
যার কাছে তোমাকে ফিরতেই হবে।“
আরে ভাই, বিজ্ঞান স্রষ্টার সৃষ্টি। আর সেটা তিনি পবিত্র কোরআনে তুলে ধরেছেন। মসজিদে সেই কোরআনের আলোচনা। স্রষ্টার ইবাদাত করা হয়। দুটির পার্থক্য খুঁজতে যাবেন না। এতে আপনি মুর্খ প্রমাণিত হবেন। কারন, এমন কোন বিজ্ঞান নেই যেটা মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেন নি এবং সেটা কোরআনে ব্যাখ্যা করেন নি।
আর করোনার সাথে মসজিদের লড়ার কথা বলছেন? আগে ভালো ভাবে জানুন, কোথায় কি করা লাগে। গবেষণাগারে কি করা হয় আর মসজিদে কি করা হয়।
আমিই গুছিয়ে দিচ্ছি। কারন, আপনারা মাথা মোটা বিধায়ই আপনারা নাস্তিক হয়েছেন। গবেষণাগারে আল্লাহর দেয়া নিয়ামতেরই ব্যাবহার করে করোনার ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হবে। আর এই মহামারী থেকে বেঁচে যাওয়ার পর মসজিদে গিয়েই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করবো। মসজিদ ইবাদাতের জন্য, গবেষণাগার নয়।
আল্লাহ আপনাদের বুঝার তাউফিক দান করুক। এই মহামারী থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক। আমিন।
লেখাঃ তারেক অরণ্য।
Comments
Post a Comment