তিস্তা নিয়ে সম্ভাব্য রাজনীতি

 

চীনের সাথে করা বাংলাদেশের তিস্তা প্রজেক্ট বাংলাদেশ, ভারত ও চীন এই তিনটি দেশের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত বাংলাদেশের জন্য বেশি দরকার। কারন উত্তরাঞ্চলে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পানির অভাবে। আর চীনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারন চীন এটাকে ভারতের গলা চেপে ধরার জন্য ব্যাবহার করতে পারে। আর ভারত চীনের ভয়ে এটাকে বানচালের চেষ্টা করবেই। কারনটা বলছি....

রংপুরের এদিকেই ভারতের শিলিগুড়ি করিডর। এর মাধ্যমে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ কে যুক্ত করেছে। আর এই করিডর এলাকা মূলত চিকেন নেক হিসেবেই পরিচিত। এরপর আছে নেপাল ও ভূটান। আবার ঐদিকেরই একটা বিতর্কিত এলাকা আছে, যাকে চীনের ডকলাম প্লে বলা হয়। এই ডকলাম মূলত ভূটানের হলেও চীন এটাকে দখল করে নেয়। এই ডকলাম সীমান্ত ভারতের সিক্কিম এর কাছাকাছি। চিকেন নেক হতে ডকলাম প্লে খুব দূরে না। আবার এই সিক্কিমেও কিন্তু চীনেত দাবি আছে। আর ডকলামে নিরাপত্তার জন্য চীন সর্বদা সেনা মোতায়েন করে রাখে।

এখন তিস্তা চুক্তিতে চীন ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এটা নিশ্চিত এবং এই প্রজেক্টও চীন হ্যান্ডেল করবে। যা আমাদের জন্য সুখকর হলেও ভারতের জন্য দুঃস্বপ্ন। যার জন্য কিছুদিন আগে শ্রিংলা বাংলাদেশ সফর করে যান। যদিও ঐ সফর পুরোটাই রহস্যে ঘেরা। এরপরেও অনুমান করা যায় যে এটাও অন্যতম কারন হতে পারে। কেননা চীনের কাছে প্রস্তাব দেয়ার কিছুদিনের মাঝেই এই ঝটিকা সফর। যাই হোক ভারতের জন্য চীন-বাংলাদেশের এই তিস্তা চুক্তি দুঃস্বপ্নই বটে, কারন চীন যদি চিকেন নেকে কোন ভাবে হাল্কা করেও খেলে দেয়, তাহলে অরুণাচল প্রদেশ সম্পূর্ণ স্বাধীন হয়ে যাবে। 

এই তিস্তার প্রজেক্টের মাধ্যমে শুধু নতুন ব্যারেজই হবে না, পাশাপাশি নদীবন্দরও হবে। রংপুর হবে মেগা সিটি। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে চীন এই তিস্তার অফার পাওয়ার সাথে সাথে রাজি হবার পূর্বে ফিজিবিলিটি টেস্ট করে রেজাল্টও প্রকাশ করে দিয়েছে। এবার কাজ শুরু হবার অপেক্ষা। 


এখন ভারত এই প্রজেক্ট শুরু হতে দেয় কি না, এটাই দেখার পালা। আমরা বাংলাদেশের জনগণ এই প্রজেক্ট নিয়ে খুব আশাবাদী।

Comments

Popular posts from this blog

DevSecOps - Beginners guide

The Cloud Is More Vulnerable Than You Think

DSA