পারমাণবিক বোমা নাকি হাইড্রোজেন বোমা, কোনটা বেশি শক্তিশালী?
ভার্সিটিতে ডিপার্টমেন্টের বড় ভায়ের সাথে এই বিষয়ে তুমুল বিতর্কে লেগেছিলাম। কোনটা বেশি শক্তিশালী, পারমানবিক বোমা নাকি হাইড্রোজেন বোমা। আমি ঠিক ভাবে জানতাম না। শুধু ভায়ের ফোকাসে আসার জন্যই এই বিতর্কটা করেছিলাম। আসলে তখন ভার্সিটিতে নতুন ছিলাম তো। সব ভায়ের সাথে কথা বলার সাহস হতো না। এই ভাইটা খুবই লিনিয়্যান্ট ছিলেন। তাই তার সান্যিধ্যে যেতে চাওয়া!! তো যাই হোক, হয়ত ভাই আমার ইiচ্ছার ব্যাপারটা কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলেন। তাই এই বিষয়ে বেশি কিছু বলেন নি আমাকে। শুধু বলেছিলেন এই দুটি বিষয় সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে উনার রুমে গিয়ে কি শিখলাম সেটা জানাতে। নয়ত অযথা তর্ক করার কারনে কঠোর শাস্তি দিবেন। — ভাই তো গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে বেড়িয়ে গেছেন। কিন্তু, তার জন্য আমি এই বিষয়টা ভালো ভাবেই শিখে নিয়েছিলাম! — যাক, মূল বিষয়ে আসি। পারমানবিক বোমা ও হাইড্রজেন বোমার মাঝে হাইড্রজেন বোমা পারমানবিক বোমার চেয়ে ১০০০ গুন বেশি শক্তিশালী। আসুন, আলোচনা করি……
.
পারমানবিক বোমাঃ.
বর্তমানে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আমেরিকা আর রাশিয়ার মাঝে উত্তেজ্জনা বিরাজ করছে। যদি এই ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মাঝে যুদ্ধ বেধেই যায় তো পারমানবিক যুদ্ধ হবার সম্ভাবনা প্রবল। আমরা সবাই জানি পারমাণবিক বোমা কতটা বিধ্বংসী। হিরশিমা এবং নাগাসাকি তার উদাহরণ। বলা হয়ে থাকে, গোটা বিশ্বে যে পরিমান পারমানবিক বোমা মজুদ আছে, তা দিয়ে গোটা পৃথিবীকে ১৬ বার ধ্বংস করা যাবে!! বুঝাই যাচ্ছে, মানব অস্তিত্বের জন্য কত বড় হুমকি এটা!! — বিশ্বে, আমেরিকা (৫৬০০), রাশিয়া (৭০০০), ফ্রান্স (৩০০), চীন (২৭০), পাকিস্তান (১৩০-১৪০), ভারত (১২০), ইজরায়েল (৮০-১০০), উত্তর কোরিয়া (২০-৪০), ইরান (অজানা) প্রভৃতি দেশ সমুহ পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র!! — তো, প্রশ্ন হচ্ছে, পারমাণবিক বোমা কি? কেনই বা এত শক্তিশালী এটা?? — পারমানবিক বোমা হচ্ছে এমন এক ধরনের বোমা যা নিউক্লিয়ার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রচুর ধংসাত্বক কাজ চালায়। আমেরিকান বিজ্ঞানী “ওপেন হাইমারকে” এই পারমানবিক বোমার জনক বলা হয়। পারমানবিক বোমায় একধরনের বিক্রিয়া সংগঠিত হয়, যা নিউক্লিয়ার ফিশান নামে পরিচিত। এতে করে খুব অল্প পরিমান পদার্থ থেকে চেইন বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়। পারমানবিক বোমার মূল উপাদান ইউরেনিয়াম ও প্লুটেনিয়াম। আধুনিক এক হাজার কি.গ্রা থার্মোনিউক্লিয়ারের অস্ত্রের বিস্ফোরণ প্রায় ১ বিলিয়ন কি.গ্রা টিএনটির চেয়েও বেশি। টিএনটি হলো বিস্ফোরক দ্রব্য। পারমানবিক বোমার বিস্ফোরক শক্তিকে টিএনটি দ্বারা হিসেব করা হয়। জাপানের হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিলো, তার নাম ছিলো “Little Boy”, এটির বিস্ফোরণ ক্ষমতা ছিলো প্রায় ১৫০০ টন টিএনটি। এতে ইউরেনিয়াম ব্যাবহার করা হয়েছিলো। যা, নিউক্লার ফিশান প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদন করেছিলো। ফলে ৬৩ টেরা জুল ধ্বংসাত্মক শক্তি উৎপন্ন হয়েছিলো। এর চেয়েও শক্তিশালী ছিলো নাগাসাকির ” Fat Man”, যেটির বিস্ফোরন ক্ষমতা ছিলো ২১০০ কিলোটন টিএনটি। এটাতে প্লুটনিয়ামের ব্যাবহার হয়েছিলো, যা নিউক্লিয়ার ফিশান বিক্রিয়ায় ৯৬ টেরাজুল বিধ্বংসী শক্তি উৎপন্ন করেছিলো। বুঝাই যাচ্ছে কতটা ভয়াবহ হয়েছিলো সেই পারমাণবিক বিস্ফোরণ! যদিও ভারত ও পাকিস্তান NPT designated nuclear weapons এর আওতায় নেই। এরপরেও পাকিস্তানের প্রথম পরীক্ষিত পারমানবিক বোমার শক্তি ক্ষমতা ছিল ৪৫ টেরা জুল ও ভারতের ৬৫ টেরা জুল। এই বোমা গুলো আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। তাই, শুধু আমরা শুধু অনুমানই করতে পারি যে এই পারমানবিক যুদ্ধে কি পরিমান ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে! – তবে এরচেয়েও বিধ্বংসী ও শক্তিশালী বোমা হলো হাইড্রোজেন বোমা।
.
হাইড্রোজেন বোমাঃ.
হাইড্রোজেন বোমার অপর নাম থার্মোনিউক্লিয়ার ডিভাইস। হাইড্রোজেন বোমা পারমাণবিক বোমা থেকে হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। কারন, এটা সূর্যের ন্যায় বিক্রিয়া করে শক্তি ও তাপ উৎপাদন করে। মানে, নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রক্রিয়ায় শক্তি ও তাপ উৎপাদন করে। তাই একে সূর্যের বোমা বলা হয়। হাইড্রোজেন বোমার মূল উপাদান হলো হাইড্রোজেনের দুইটি আইসোটোপ। নাম – “ডরটেরিয়াম” ও “টিট্রিয়াম”। এই দুই উপাদান নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদন করে বিধ্বংসী কাজ চালায়। হাইড্রোজেন বোমার ভেতরে মিনি সাইজের এটম বোমাও থাকে। এই হাইড্রোজেন বোমার উদ্ভাবক দেশ আমেরিকা। তাদের উদ্ভাবিত প্রথম হাইড্রোজেন বোমার নাম ” ইভি মাইক”। কিন্তু, এটি তেমন শক্তিশালী ছিলো না। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার নাম “Tsar Bomba”। শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্য ৫০ মেগাটন টিএনটি ক্ষমতা সম্পন্ন ছিলো এটি। যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। আর এতে করেই ২১০ পেটাজুল শক্তি নির্গত করেছিলো। কিন্তু বাস্তবে এর ক্ষমতা দ্বিগুণ। মানে এটা ১০০ টিএনটি ক্ষমতা সম্পন্ন এবং এটা ৪২০ পেটা জুল শক্তি নির্গত করবে! আর এটিই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা! এর মালিকানাধীন দেশ হলো রাশিয়া। — এর ক্ষমতা সম্পর্কে একটু বলি, — ধরুন রাশিয়া এই ” জার বোম্বা” ভারতের কলকাতায় ফেললো, তবে নিমিষেই পশ্চিমবঙ্গ সহ আমাদের খুলনা, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর একদম আগুনের গোলায় পরিনত হবে (According to Nuke map)। আর এর রেডিয়েশন বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো বিভাগেই ছড়িয়ে পড়বে। ভারতে তো হবেই। ভারত বড় রাষ্ট হওয়ায় গোটা ভারতের ক্ষতি না হলেও পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের রাজ্যগুলোতে তীব্রভাবে এটার রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়বে! মানব অস্তিত্ব ধ্বংসের আরেক আতঙ্কের নাম হাইড্রোজেন বোমা। এটি পারমাণবিক বোমার চেয়েও হাজার গুণ শক্তিশালী ও বিধ্বংসী। জাতিসংঘের স্থায়ী চার সদস্য আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স – এদের সবারই হাইড্রোজেন বোমা আছে। তবে সংখ্যাটা অজানা।
.
.
তো যাই হোক, হাইড্রোজেন বোমা পারমাণবিক বোমার চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তবে এতটুকি নিশ্চিত যে আমেরিকা-রাশিয়ার কেউই হাইড্রজেন বোমা ব্যাবহার করবে না! তবে পারমানবিক অস্ত্র ব্যাবহার করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর এই দুইদেশে পারমাণবিক যুদ্ধ লাগলে ইউরোপ ছাপিয়ে আমাদের দেশেরও ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে বৈ কম হবে না। আমরা ব্যাপারটা অন্য ভাবে আলোচনা করতে পারি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেরই পারমানবিক বোমা আছে। তাদের মাঝে সারা বছরই সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করে। যদি তাদের মাঝে ফুলস্কেল যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, তবে এর পরিনাম যে পারমানবিক যুদ্ধে রুপ নেবে তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। এবার....
পারমানবিক বোমাঃ.
বর্তমানে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আমেরিকা আর রাশিয়ার মাঝে উত্তেজ্জনা বিরাজ করছে। যদি এই ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মাঝে যুদ্ধ বেধেই যায় তো পারমানবিক যুদ্ধ হবার সম্ভাবনা প্রবল। আমরা সবাই জানি পারমাণবিক বোমা কতটা বিধ্বংসী। হিরশিমা এবং নাগাসাকি তার উদাহরণ। বলা হয়ে থাকে, গোটা বিশ্বে যে পরিমান পারমানবিক বোমা মজুদ আছে, তা দিয়ে গোটা পৃথিবীকে ১৬ বার ধ্বংস করা যাবে!! বুঝাই যাচ্ছে, মানব অস্তিত্বের জন্য কত বড় হুমকি এটা!! — বিশ্বে, আমেরিকা (৫৬০০), রাশিয়া (৭০০০), ফ্রান্স (৩০০), চীন (২৭০), পাকিস্তান (১৩০-১৪০), ভারত (১২০), ইজরায়েল (৮০-১০০), উত্তর কোরিয়া (২০-৪০), ইরান (অজানা) প্রভৃতি দেশ সমুহ পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র!! — তো, প্রশ্ন হচ্ছে, পারমাণবিক বোমা কি? কেনই বা এত শক্তিশালী এটা?? — পারমানবিক বোমা হচ্ছে এমন এক ধরনের বোমা যা নিউক্লিয়ার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রচুর ধংসাত্বক কাজ চালায়। আমেরিকান বিজ্ঞানী “ওপেন হাইমারকে” এই পারমানবিক বোমার জনক বলা হয়। পারমানবিক বোমায় একধরনের বিক্রিয়া সংগঠিত হয়, যা নিউক্লিয়ার ফিশান নামে পরিচিত। এতে করে খুব অল্প পরিমান পদার্থ থেকে চেইন বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়। পারমানবিক বোমার মূল উপাদান ইউরেনিয়াম ও প্লুটেনিয়াম। আধুনিক এক হাজার কি.গ্রা থার্মোনিউক্লিয়ারের অস্ত্রের বিস্ফোরণ প্রায় ১ বিলিয়ন কি.গ্রা টিএনটির চেয়েও বেশি। টিএনটি হলো বিস্ফোরক দ্রব্য। পারমানবিক বোমার বিস্ফোরক শক্তিকে টিএনটি দ্বারা হিসেব করা হয়। জাপানের হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিলো, তার নাম ছিলো “Little Boy”, এটির বিস্ফোরণ ক্ষমতা ছিলো প্রায় ১৫০০ টন টিএনটি। এতে ইউরেনিয়াম ব্যাবহার করা হয়েছিলো। যা, নিউক্লার ফিশান প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদন করেছিলো। ফলে ৬৩ টেরা জুল ধ্বংসাত্মক শক্তি উৎপন্ন হয়েছিলো। এর চেয়েও শক্তিশালী ছিলো নাগাসাকির ” Fat Man”, যেটির বিস্ফোরন ক্ষমতা ছিলো ২১০০ কিলোটন টিএনটি। এটাতে প্লুটনিয়ামের ব্যাবহার হয়েছিলো, যা নিউক্লিয়ার ফিশান বিক্রিয়ায় ৯৬ টেরাজুল বিধ্বংসী শক্তি উৎপন্ন করেছিলো। বুঝাই যাচ্ছে কতটা ভয়াবহ হয়েছিলো সেই পারমাণবিক বিস্ফোরণ! যদিও ভারত ও পাকিস্তান NPT designated nuclear weapons এর আওতায় নেই। এরপরেও পাকিস্তানের প্রথম পরীক্ষিত পারমানবিক বোমার শক্তি ক্ষমতা ছিল ৪৫ টেরা জুল ও ভারতের ৬৫ টেরা জুল। এই বোমা গুলো আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। তাই, শুধু আমরা শুধু অনুমানই করতে পারি যে এই পারমানবিক যুদ্ধে কি পরিমান ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে! – তবে এরচেয়েও বিধ্বংসী ও শক্তিশালী বোমা হলো হাইড্রোজেন বোমা।
.
হাইড্রোজেন বোমাঃ.
হাইড্রোজেন বোমার অপর নাম থার্মোনিউক্লিয়ার ডিভাইস। হাইড্রোজেন বোমা পারমাণবিক বোমা থেকে হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। কারন, এটা সূর্যের ন্যায় বিক্রিয়া করে শক্তি ও তাপ উৎপাদন করে। মানে, নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রক্রিয়ায় শক্তি ও তাপ উৎপাদন করে। তাই একে সূর্যের বোমা বলা হয়। হাইড্রোজেন বোমার মূল উপাদান হলো হাইড্রোজেনের দুইটি আইসোটোপ। নাম – “ডরটেরিয়াম” ও “টিট্রিয়াম”। এই দুই উপাদান নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদন করে বিধ্বংসী কাজ চালায়। হাইড্রোজেন বোমার ভেতরে মিনি সাইজের এটম বোমাও থাকে। এই হাইড্রোজেন বোমার উদ্ভাবক দেশ আমেরিকা। তাদের উদ্ভাবিত প্রথম হাইড্রোজেন বোমার নাম ” ইভি মাইক”। কিন্তু, এটি তেমন শক্তিশালী ছিলো না। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার নাম “Tsar Bomba”। শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্য ৫০ মেগাটন টিএনটি ক্ষমতা সম্পন্ন ছিলো এটি। যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। আর এতে করেই ২১০ পেটাজুল শক্তি নির্গত করেছিলো। কিন্তু বাস্তবে এর ক্ষমতা দ্বিগুণ। মানে এটা ১০০ টিএনটি ক্ষমতা সম্পন্ন এবং এটা ৪২০ পেটা জুল শক্তি নির্গত করবে! আর এটিই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা! এর মালিকানাধীন দেশ হলো রাশিয়া। — এর ক্ষমতা সম্পর্কে একটু বলি, — ধরুন রাশিয়া এই ” জার বোম্বা” ভারতের কলকাতায় ফেললো, তবে নিমিষেই পশ্চিমবঙ্গ সহ আমাদের খুলনা, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর একদম আগুনের গোলায় পরিনত হবে (According to Nuke map)। আর এর রেডিয়েশন বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো বিভাগেই ছড়িয়ে পড়বে। ভারতে তো হবেই। ভারত বড় রাষ্ট হওয়ায় গোটা ভারতের ক্ষতি না হলেও পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের রাজ্যগুলোতে তীব্রভাবে এটার রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়বে! মানব অস্তিত্ব ধ্বংসের আরেক আতঙ্কের নাম হাইড্রোজেন বোমা। এটি পারমাণবিক বোমার চেয়েও হাজার গুণ শক্তিশালী ও বিধ্বংসী। জাতিসংঘের স্থায়ী চার সদস্য আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স – এদের সবারই হাইড্রোজেন বোমা আছে। তবে সংখ্যাটা অজানা।
.
.
তো যাই হোক, হাইড্রোজেন বোমা পারমাণবিক বোমার চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তবে এতটুকি নিশ্চিত যে আমেরিকা-রাশিয়ার কেউই হাইড্রজেন বোমা ব্যাবহার করবে না! তবে পারমানবিক অস্ত্র ব্যাবহার করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর এই দুইদেশে পারমাণবিক যুদ্ধ লাগলে ইউরোপ ছাপিয়ে আমাদের দেশেরও ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে বৈ কম হবে না। আমরা ব্যাপারটা অন্য ভাবে আলোচনা করতে পারি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেরই পারমানবিক বোমা আছে। তাদের মাঝে সারা বছরই সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করে। যদি তাদের মাঝে ফুলস্কেল যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, তবে এর পরিনাম যে পারমানবিক যুদ্ধে রুপ নেবে তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। এবার....
ধরুন, পাকিস্তান তাদের সবচেয়ে কম শক্তিশালী পারমানবিক বোমা ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ফেললো! এতে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ নিমিষেই আগুনের গোলায় পরিনত হবে। আর এর রেডিয়েশন বাংলাদেশের খুলনা, পাবনা, রাজশাহী, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা প্রভৃতি জায়গায় তীব্রভাবে অনুভুত হবে৷ পাশাপাশি প্রবল ভাবে ভূমিকম্প অনুভুত হবে। এর কিছুদিন পর পারমানবিক বোমার কারনে সৃষ্ট মাশরুম ক্লাউড সমগ্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ঘন ঘন এসিড বৃষ্টি হবে! মহাকাশের ওজন স্তরের প্রায় অর্ধেক ধ্বংস হয়ে যাবে। সূর্যের ক্ষতিকারক কসমিক রে অনায়াসেই পৃথিবীতে প্রবেশ করবে। যার কারনে স্কিন ক্যান্সার বেশি বেশি হবে। — পারমানবিক যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কেমন হবে বুঝতেই পারছেন! আমরা বাংলাদেশিরা তো ভুগবোই, সমগ্র বিশ্বকেও ভুগতে হবে। জীববৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন হবে!!
ভারত-পাকিস্তানের পারমানবিক বোমা রাশিয়া বা আমেরিকার তুলনায় তুলনামুলক দুর্বল। তারই ক্ষতি এতোটা ভয়াবহ হলে ভাবুন বিশ্বের দুই পরাশক্তির মাঝে পারমানবিক যুদ্ধ হলে এর পরিনাম কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
তাই, আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই। এই সুন্দর পৃথিবীতে আমরা বাঁচতে চাই।
লেখাঃ Md Tareq Shah Alam
.
.
.
.
Comments
Post a Comment