Posts

Showing posts from 2021

মোড়ল নাজেহাল

Image
ভারতের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের মুখে। এর কারন, মোদি ও তার সমর্থকের বিদ্বেষ। দুর্বল ও গাজাখোরি কুটনৈতিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন স্টেপ। আজব উচ্চাভিলাষী চিন্তাভাবনা।  যেই রাশিয়ার সাপোর্টে ভারত আজ পরাশক্তি, সেই রাশিয়াকে বাদ দিয়ে আমেরিকা ও ইজরায়েলের দালালি করে এই ভারত। টার্গেট মুসলিমদের পরাস্ত করা। স্বাধীনতা রক্ষায় সামরিক শক্তির বিকল্প নেই। কিন্তু, এই সময়ে জনগণের দিকেও নজর দেয়া উচিত। এই বছর কিন্তু ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো কমবে এবং এই ক্ষতি আগামী ৫ বছরেও পূরন হবে না। দিনশেষে একটা শিক্ষামূলক সত্য কথা হলো, জনগণের অনুভূতি নিয়ে ক্ষমতায় আসা অযোগ্য শাসক দিয়ে দেশ কোনদিন উন্নতি লাভ করতে পারে না। এই মোদির আমলেই কিন্তু ভারত বাংলাদেশ থেকে দুর্বল হয়েছে। এমনকি পাকিস্তান থেকেও গরিব দেশ হচ্ছে ভারত।  খালি সামরিক সরঞ্জাম কিনলেই ধনি হওয়া যায় না।.... যত আবেগ নিয়া চলবে, ততই ধংস হবে।

নচ্ছার হেফাজত!

Image
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমকে দেশের সর্বস্তরের জনগণ মেনে নিতে পারেনি। তাই গত ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে জুম্মার নামাযের পর কঠোর আন্দোলন হয় যার নেতৃত্বে ছিলো হেফাজতে ইসলাম। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। তাদের মাঝে আলেমের সংখ্যা বেশি। যার ফলশ্রুতিতে ১ দিনের হরতালও ডাকে তারা। সেই সময়ের পর থেকে সরকার ও হেফাজতে ইসলাম দুইজন দুই মেরুতে অবস্থান করছে। এর কিছুদিন পর হেফাজতে ইসলামের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা মামুনুল হক সাহেবের সাথে এক বিশাল ঘটনা ঘটে যায়। সোনার গাঁ হোটেলে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে পাকড়াও করে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। কেউ কেউ বলে এটা নাকি হানিট্র্যাপ আবার কেউ বলে এটা তার দ্বিতীয় বউ। আসল ব্যাপার নিজেই পরিষ্কার করে মামুনুল হক। তিনি বলেন এটা তারই দ্বিতীয় বউ। সব মিলিয়ে মামুনুল হক সাহেবকে নিয়ে এক প্রকার অস্বস্তিতে পড়ে হেফাজতে ইসলাম।  দেখা যাচ্ছে অনেক দেশীয় ইসলামিক সংস্থা তার উপর ভালোই ক্ষেপেছে। অনেকে তাকে ভালোই ব্লেম দিচ্ছে, কেন তিনি এমন করলেন। আবার ইসলামে চার বিয়ে করা জায়েজ। এটা সুন্নত। কিন্তু দেশীয় মিডিয়ার বিভিন্ন প্রচারে জনগণ...

মোদি ও আমরা

Image
আমরা যতোই মোদি হটাও বলে প্রটেস্ট করি না কেন, সত্য এটাই যে আমাদের নিজেদেরই ঠিক নাই। আমরা মোদিকে ঘৃণা করি কেন? ভারতে তার নেতৃত্বে মুসলিমদের উপর অত্যাচারের স্টিমরোল চলছে। গুম-খুন হচ্ছে। মোদি একটা মুসলিম বিদ্বেষী। --- এটাই তো মূল কথা? হ্যা, এটাই মূল। অন্য কোন কারন নেই। তবে এবার আমি কিছু কথা বলি.... সবই মেনে নিলাম। মুসলিম ভ্রাতৃত্বের কারনেই আজ ঐ নাফরমানের প্রতি আমাদের এতো ঘৃণা। কিন্তু, যেই মুসলিম ভাইদের প্রতি সে এই অত্যাচার চালাচ্ছে, তাদের জন্য কয়বার আন্দোলন করেছি। কয়বার কঠোর প্রতিবাদ করেছি? না একবারও করিনি। একবারও না। যদি করতাম, তবে বিশ্বের সামনে ঢালাও ভাবে প্রচার হতো ভারতীয় উগ্র হিন্দুদের আসল চেহারা। এই মোদি প্রশাসন আন্তর্জাতিক ভাবে একটু হলেও চাপে পড়তো।  আজ আমরা কিছু না করেও নাকি হিন্দুদের উপর অত্যাচার করি। তারপর তিল থেকে তাল আর তারপর ভারতে মানববন্ধন। আন্দোলন। তাহলে আমাদের ভ্রাতৃত্ব বোধ থেকে আন্দোলন - প্রতিবাদ কোথায়? নাকি সবই লোক দেখানো। মোদির বাংলাদেশে আসা বন্ধ হলে কি ভারতের মুসলিম নির্যাতন বন্ধ হবে? জয় শ্রীরাম নামক কুফরি ধ্বনি না দেয়ায় যেসকল মুসলিম ভায়েদের হত্যা করা হয়েছে, সেসব হত্য...

আমার ভাষা, আমার ভালোবাসা

Image
  ভাষার প্রতি ভালোবাসা শুধু এই এক দিনের জন্য না। সবসময়ের জন্য। মায়ের প্রতি ভালোবাসা শুধু মা দিবসে দেখিয়ে লাভ নেই। এটা সবসময় প্রকাশ করতে হয়। তেমনি, দেশ-ভাষাও মাতৃ তুল্য! ভালোবাসাটা সবসময়ই দেখাতে হয়। আমার আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন, বাংলা-ইংলিশ মিলিয়ে কথা বলেন। তারা মনে করে এটা আধুনিকতা। কিন্তু আদতে এটা ভাষার অপমান ছাড়া আর কিছুই না। বাংলাদেশের বর্তমান বেতার গুলোর প্রায় অনেক বক্তারা বাংলা কম ইংরেজি বেশি বলেন। দুই একটা শব্দ বাংলায় বলে, বাকি সব ইংরেজি। তাদের কাছে ওটাই সেরা সংস্কৃতি। ওটাই আধুনিকতা। কিন্তু বাস্তবে ওটা ভাষার অপমান। আমরা তরুন প্রজন্ম আসলে এগুলোই দেখে বড় হয়েছি। তাই আমাদের ভাষার প্রতি মমত্ববোধটা কম। এর মূল কারন কি জানেন? এর মূল কারন হচ্ছে দেশে অবাধে ভিনদেশী সংস্কৃতির প্রবেশ। অথচ, এটা ভুলে গেলে চলবে না, ভাষার জন্য একমাত্র আমরা বাঙালিরাই প্রাণ দিয়েছি। এই বাংলাদেশের বীরেরাই রক্ত দিয়ে বাংলাভাষার মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেছে। অথচ, দেখুন কি হাল! এমনো অনেককে দেখেছি, যে প্রশ্ন করেছি বাংলায় আর উত্তর দেয় ইংরেজিতে। ব্যাপার দাড়ালো যে তারা ইংরেজিতে প্রচুর দক্ষ। এটা ভালো, কিন্তু এর মানে এই না যে ভ...

সূচীর পতন ও আমাদের লাভ-ক্ষতি

Image
 রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে আলোচনা শুরুর কয়েক মাসের মাঝে সুচি সরকার সামরিক জান্তার গ্যারাকলে পড়লো! যারা সূচির গ্রেফতারে খুশি হয়ে বাহবা দিচ্ছেন, তাদের বলি, লাভ খুব একটা হয় নাই। মায়ানমার আজীবন চীনের গোলাম। আর এবারও চীনের ইন্ধোনেই সেই অভ্যুত্থান। চীনের মধ্যস্ততায়ই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, আবার চীনের ইন্ধনে মায়ায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সূচির পতন। আর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাধাগ্রস্ত! বন্ধই বলতে পারেন। সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি! কেমন হবে? যদি মায়ানমারের সাধারণ মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে মায়ানমার সেনাবাহিনী চীনের ইন্ধনে বাংলাদেশ সীমান্তে হামলা করে? এতে কিন্তু লাভ চীনেরই। কারন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ চীনের আদলে সাজানো, অপরদিকে মায়ানমার সেনাবাহিনীও চীনের আদলে সাজানো। চীনের অস্ত্র ব্যাবসা কিন্তু ভালোই জমবে। তাই, এবার বাংলাদেশের উচিত হবে পশ্চিমা দেশ গুলোর সাথে আলোচনা করে মায়ানমারের উপর বড় ধরনের অর্থনৈতিক স্যাংশন আরোপে চাপ দেয়া। চীন নির্ভরতা কমিয়ে পশ্চিমা দেশ গুলোর সাথে সখ্যতা বৃদ্ধি করা। বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই মায়ানমারের পরিস্থিতিতে নিজ...