Posts

Showing posts from 2020

পরাশক্তি ফ্রান্সকে হারানো কি আদৌ সম্ভব?

Image
  ফ্রান্স এমন একটি দেশ, যার সামরিক সক্ষমতা আকাশ চুম্বী। ICBM, নিউক্লিয়ার ওয়েপনস সহ এমন কিছু বাদ দেই যা তাদের সামরিক বহরে নেই। আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সহ তারা এখন ৫ম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার জেট সামরিক বহরে যুক্ত করার চেষ্টা করছে। বিশ্ববিখ্যাত রাফালে ফাইটার জেট ফ্রান্সে নির্মিত হয়। কিন্তু এই ফ্রান্সের যুদ্ধের ইতিহাস বড়ই করুন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার সর্বপ্রথম ফ্রান্সে আক্রমণ করে ফ্রান্সকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। ব্যটেল অফ ফ্রান্স এর ঘটনা সবাই জানে। হিটলারের অপারেশন ডায়নামো নামের অভিযানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্রবাহিনীর মোট ৩৪ লাখ সেনা পলায়ন করেছিলো।  ভিয়েতনাম যুদ্ধে চরম মূল্য দিয়ে বিদায় নেয় ফ্রান্স। আলজেরিয়ার সাথে ৭ বছরের চলমান যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিদায় নেয় ফ্রান্স। ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যা আলজেরিয়ায় চালিয়েছিলো ফ্রান্স। মোট ১৫ লাখ মানুষকে হত্যা করে তারা। কিন্তু আজজেরিয় দের প্রচন্ড আক্রমণের মুখে ফিরে আসে তারা। এরপর ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পর বসনিয়ার যুদ্ধে ফ্রান্সের একটি ইউনিট যায় যুদ্ধ করতে এবং চরম মাইর খায়ে ফিরে আসে। সব শেষে একটাই কথা, ফ্রান্স যত শক্তিশালীই হোক...

ধর্ষণ - এর প্রতিকার কি?

Image
সম্প্রতি দেশে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার প্রশ্নে সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মন্ত্রী সারা বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখার কথা বলেছেন। প্রশ্ন রেখেছেন, কোন জায়গায় ধর্ষণ নেই? এমন কোনো দেশ নেই ধর্ষণ হয় না! (যুগান্তর - ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই প্রশ্নটা কেন করেছেন সেটা জানি না। শুধু এইটুকুই জানি ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার প্রশ্নে উনি পাল্টা সাংবাদিকদের এই প্রশ্ন করেছেন। এখন এই প্রশ্নের মাধ্যমে ধর্ষকদের ধিক্কার জানানো হয়েছে না ধর্ষন বেড়ে যাওয়ার প্রশ্নে উনি বিরক্ত হয়েছেন তা আমার বোধগম্য নয়। আবার দেশের বর্তমান দুর্বল আইনের পক্ষে সাফাই গাওয়ার লক্ষেও বলেছেন কি না জানি না। কিছু একটা হবে হয়তো। সেটা আমাদের কারোর কাছেই পরিষ্কার না। তবে তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে ধর্ষকদের বিচার হবে। যাই হোক...... কথা বলছিলাম ধর্ষণ নিয়ে। আসলে এই বিষয়টা নিয়ে বলে লাভ হবে না জানি, কিন্তু সিলেটের গৃহবধুর উপর ঘটে যাওয়া ঐ নৃশংস ঘটনার পর আসলে না লিখে পারলাম না। দেশের আজ কি হাল ভাবুন! মানুষ কত অসহায়! স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ! আহ! কি নৃশংস! কি জঘন্য! এরকম জঘ...

তিস্তা নিয়ে সম্ভাব্য রাজনীতি

Image
  চীনের সাথে করা বাংলাদেশের তিস্তা প্রজেক্ট বাংলাদেশ, ভারত ও চীন এই তিনটি দেশের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত বাংলাদেশের জন্য বেশি দরকার। কারন উত্তরাঞ্চলে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পানির অভাবে। আর চীনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারন চীন এটাকে ভারতের গলা চেপে ধরার জন্য ব্যাবহার করতে পারে। আর ভারত চীনের ভয়ে এটাকে বানচালের চেষ্টা করবেই। কারনটা বলছি.... রংপুরের এদিকেই ভারতের শিলিগুড়ি করিডর। এর মাধ্যমে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ কে যুক্ত করেছে। আর এই করিডর এলাকা মূলত চিকেন নেক হিসেবেই পরিচিত। এরপর আছে নেপাল ও ভূটান। আবার ঐদিকেরই একটা বিতর্কিত এলাকা আছে, যাকে চীনের ডকলাম প্লে বলা হয়। এই ডকলাম মূলত ভূটানের হলেও চীন এটাকে দখল করে নেয়। এই ডকলাম সীমান্ত ভারতের সিক্কিম এর কাছাকাছি। চিকেন নেক হতে ডকলাম প্লে খুব দূরে না। আবার এই সিক্কিমেও কিন্তু চীনেত দাবি আছে। আর ডকলামে নিরাপত্তার জন্য চীন সর্বদা সেনা মোতায়েন করে রাখে। এখন তিস্তা চুক্তিতে চীন ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এটা নিশ্চিত এবং এই প্রজেক্টও চীন হ্যান্ডেল করবে। যা আমাদের জন্য সুখকর হলেও ভারতের জন্য দুঃস্বপ্ন। যার জন্য কিছুদিন আগে শ্রিংলা বাংলাদেশ সফ...

দুনিয়া সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ কি করছিলেন? আর এই প্রশ্ন করা কি জায়েজ?

Image
শুরু করার আগে বলেনেই, যেহেতু এটা ইসলামিক গবেষণামূলক লেখা সেহেতু এটা একটু বড় হতে পারে। ধৈর্য নিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।  আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে, এই দুনিয়া সৃষ্টির আগে আল্লাহ কি করেছিলেন? নাস্তিকরা তো এই প্রশ্ন করে একবারে আকাশে ভাসে। কারন আমার আপনার মতো সাধারণ মুসলিম কোনদিনও এটার উত্তর দিতে পারবে না। অতঃপর তাদের পাল্লা ভারি হবার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়। কিন্তু, একবার যদি গভীর ভাবে এটা নিয়ে ভাবুন, উত্তর পেয়ে যাবেন। কারন স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন - “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই যিনি তাঁর দাসের প্রতি এই কিতাব (আল কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন এবং এতে তিনি অসঙ্গতি  রাখেননি।” - (আল কুরআন, সুরা কাহফ ১৮ : ১)। এবার আসা যাক মূল প্রসঙ্গে..... পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন -- "বলুন - তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবে যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে আর তোমরা তাঁর সমকক্ষ দাঁড় করাতে চাও? তিনি তো জগতসমূহের প্রভু। তিনি ভূপৃষ্ঠে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন এবং তাতে রেখেছেন কল্যাণ এবং চার দিনে ব্যবস্থা করেছেন খাদ্যের - যাঞ্চাকারীদের জন্য সমভাবে। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যা ছিল ধূম্রপুঞ্জ বিশেষ। অতঃপর তিনি ওটা...

সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় সমুহ খুলে দেয়াটা আদতে কতটা যৌক্তিক?

Image
 করোনার করাল গ্রাসের শিকার বাংলাদেশের শিক্ষার খাত। সেই মার্চ মাস হতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অপর দিকে সময়ের সাথে সাথে দেশের সব কিছু খুলে দেয়া হলেও বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর কারন হিসেবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে। আসলে এই সিদ্ধান্ত কে আমিও সমর্থন করি। কেননা আমরা যতই স্বাস্থ্য বিধির কথা বলি না কেন, সেটা আসলে অতটাও মানা হয় না , যতটা প্রয়োজন। চাইলেও মানা হয় না। মানুষের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যের জন্যই মানুষ মানতে পারে না। এরই মাঝে বিভিন্ন গনমাধ্যমের বরাতে জানতে পারছি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি অথবা শেষ দিকে হয়তোবা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে । ধারনা করা হচ্ছে ঐ সময় নাকি বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আর এই সংবাদ শোনার পর অনেক শিক্ষার্থীদের মাঝেই চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে! কেননা, বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি হিসেবে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২৭১৮৮১ জন। মোট মৃত্যু ৩৫৯১ জন । যা বর্ধনশীল। এরই মাঝে দেশের স্বনামধন্য বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মৃত্যু বরন করেছেন। যেমন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ...

বাংলাদেশ তবে কিসের ভূমিকায়?

Image
  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এর মতে "বাংলাদেশ এর উন্নয়ন মানেই ভারতের উন্নয়ন। "(দৈনিক যুগান্তর - ৮ আগস্ট ২০২০)  তো ব্যাপার হচ্ছে, গতবছর এই তিনিই কিন্তু আরেকটা কন্ট্রোভার্সিয়াল বক্তব্য দিয়েছিলেন, যে -- "ভারত বাংলাদেশ এর সম্পর্ক স্বামী স্ত্রী এর মত "(দৈনিক প্রথম আলো - ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) । তখন কৌতুহলী জনতার মনে প্রশ্ন ছিলো, তাহলে কে স্বামী আর কে স্ত্রী। এবার তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেছে, কে স্বামী আর কে স্ত্রী!?  আমার কাছে তার বক্তব্য শুনে মনে হলো, বাংলাদেশ হয়ত স্বামীর ভূমিকায় আছে। আর ভারত হচ্ছে স্ত্রী। কেননা, "আমরা যা দিয়েছি সেটা ভারত সারাজীবন মনে রাখবে"। স্বামীর কষ্টে উপার্জিত উপার্জন দিয়ে তার স্ত্রীকে ভরিয়ে দেয় নানা কিছু দিয়ে। যা স্ত্রী সারা জীবন মনে রাখে। স্বামী গাধার খাটুনি খেটে স্ত্রীকে তার উপার্জনের সিংহ ভাগ দিয়ে দেয়। আর নিজের জন্য রাখে নাম মাত্র কিছু। এসব কিছুর মাধ্যমে নিমক হারাম স্ত্রী ভক্ত স্বামী নিজের পিতা-মাতার কথা ভুলে যায়। হয়তোবা কিছু দেয়, সেটা হয় নাম মাত্র। ঐ এত সব কথার মানে একটাই। ভারত হচ্ছে বাংলাদেশের স্ত্রী। কথিত এই ব্যাপা...

ঈদ উল আযহায় বিধর্মীদের প্রতি আমাদের আচরণ

Image
#কুরবানির পশুর মাংস ফেসবুকে দিলে তেমন সমস্যা নেই। কেননা ছাগল, ভেড়া, উট!.... প্রভৃতিতে হয়ত কারো সমস্যা নেই। কিন্তু, গরুর মাংস বা জবাই এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না দেয়াই ভালো। আমার মনে হয় যেটা। অন্য ধর্মে আমরা বিশ্বাস করিনা। কিন্তু মানুষ গুলোকে তো সম্মান করতে পারি! তাই না? আমি ভারতে হিন্দু কর্তৃক মুসলিম নির্যাতনের কট্টর প্রতিবাদ করি দেখে অনেকেই বলে "তারেক হিন্দু বিদ্বেষী "। যা একেবারেই ভুল। আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় দুইজন শিক্ষকের একজন হলেন হিন্দু। স্যার আমাকে প্রচন্ড স্নেহ করতেন। স্যারের বুঝানোর ক্যাপাসিটি খুব সুন্দর ছিলো। এরপর আমার কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল ফাদার থাদিউস। উনি একজন খৃষ্টান পাদ্রী। আর আমিই নাকি বিধর্মীদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করি। হ্যা, এটা সত্য আমি নাস্তিক দের ঘৃণা করি। যাক। আমাকে নিয়ে কে কি ভাবে, তা নিয়ে আমি খুব একটা মাথা ঘামাই না। কথা হচ্ছে, বিধর্মীদের প্রতি সম্মান রাখা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। তারা তো আমাদেরই স্বজাতি। আমাদের ভাই। আমরা বাঙালি। হয়ত তারা তেমন কিছু বলবেও না। কিন্তু, মানুষ গুলোকে সম্মান দেখাতে তো সমস্যা নেই। আর মুসলিমের ব্যাবহার কেমন সেটা হাদিস ঘ...

সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা ও বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ

Image
বাংলাদেশ ও ভারত বরাবরই নিজেদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে থাকে। এক্ষেত্রে উভয় দেশের সরকার প্রধানই জোরালো ভাবে এ দাবিটা করে থাকেন। কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের ভূমিকা বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, কারন সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ কতৃক অবাধে বাংলাদেশি হত্যা উভয় দেশের সম্পর্ক কেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। গত ১০ বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। বন্ধুপ্রতিম দেশের প্রতি এরুপ আচরণ প্রশ্নই তুলবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কেন এই আগ্রাসী আচরণ? বিএসএফ এর দাবি তারা নাকি আত্মরক্ষার জন্যই গুলি করে, যা সম্পূর্ন মিথ্যা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখাযায় সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা তাদের গরু বা, ব্যাবসার পন্য আনতেই বর্ডারের অপর পাশে যায়। কিন্তু বিএসএফ তা না যাচাই করেই অত্যন্ত আগ্রাসী আচরণ করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্ডারের ভেতর থেকে দেশের নাগরিককে তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সাথে তর্ক করার অপরাধে বাংলাদেশের নাগরিককে হত্যা করেছে। ঘটনাটা ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেলকুপি সীমান্তে। সেখানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুব...

কেমন আছে পাকিস্তানে বসবাসরত বাঙালিরা?

Youtube এ অনেক চ্যানেল দেখি। পাকিস্তানি চ্যানেল। তো, সেসব চ্যানেলের ইউটিউবাররা বাংলাদেশ নিয়ে ভিডিও বানায়। দেখায় পাকিস্তানি মানুষেরা বাংলাদেশের প্রতি অনুতপ্ত। তারা ১৯৭১ সালের নির্মমতার পরিবর্তে সেইসব নরপিশাচ শাসকগোষ্ঠীদের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে। পাকিস্তানিরা সত্যিই নাকি খুব অনুতপ্ত! তাহলে এবার আমি কিছু মন্তব্য করি। করাচি শহরে মোট ১৩২টি বাংলাদেশি কলোনি আছে। তাদের মাঝে নাম করা কিছু কলোনি হলো, মাচ্ছি কলোনি, বাংলা বাজার কলোনি, বাংলা কলোনি, মুসা কলোনি, ইব্রাহিম কলোনি। যার মাঝে টোটাল ২০ লক্ষ বাংলদেশি বাস করে। কিন্তু, দুঃখ জনক হলেও সত্য, এসব মানুষেরা খুবই মানবেতর জীবন যাপন করে। ১৯৪৭ এ দেশ ভাগের পর অনেক বাঙালি ঐ দেশে গিয়েছিলেন চাকরির জন্য, অনেকেই ব্যাবসা, মাছ ধরার সহ বহুবিধ কাজে। দেশ স্বাধীন হবার পরে অনেক বাংলাদেশিই ফিরতে পারেনি। এরপর তারাই সেখানে বসবাস শুরু করে। পয়সার অভাবে না আসতে পারা অনেক বাঙালির জীবন আজ দুর্বীসহ। ভারতকে নিয়ে পাকিস্তান দমন করায় সেই সব বাংলাদেশিদের পাকিস্তানিরা গাদ্দার বলে ডাক দেয়। "গাদ্দার"! স্বাধীনতা অর্জন করায় বাঙালি নাকি "গাদ্দার"। সেসব বাংলাদ...

কারুন লেক

Image
মিশরের Faiyum Governorate নামক শহরে ঐতিহাসিক কারুন লেক অবস্থিত।  মুসা (আ.) এর চাচাত ভাই কারুনের নামানুসারে এই লেকের নাম হয় কারুন লেক। অভিশপ্ত কারুন আল্লাহর গযবে পতিত হয়। সে জীবন্ত অবস্থায় মাটির গভীরে চলে যায়। মানে মাটি তাকে জীবন্ত অবস্থায় গ্রাস করে নেয়। অত্যন্ত ধনী ছিলো এই কারুন। প্রচুর ধন-সম্পদ থাকার পরেও সেই সম্পদ হতে সে গরীবের হক্ব আদায় করতো না। মানে যাকাত দিতো না। মহান আল্লাহর নির্দেশে মুসা (আ.) তার নিকট যাকাতের দাওয়াত নিয়ে গেলেও কারুন অহংকারের সাথে তা প্রত্যাখ্যান করে। মুসা (আ.) তার বিরোধিতা করায় কারুন এতটাই উগ্র হয়ে উঠে যে অনেক ভাবে সে সীমালঙ্ঘন করতে থাকে। সে দুশ্চরিত্রা মেয়েকে মুসা (আ.) এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার রটাতে রাজার নিকট পাঠায়, কিন্তু আল্লাহর অসীম কুদরতে সেই মেয়ে রাজার সামনে গিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের পরিবর্তে কারুনের সব অপকর্মের কথা বলে দেয়। সব শেষে কারুন বিভিন্ন ধনী ব্যাক্তিদের নিয়ে হযরত মুসা (আ.) এর বিরুদ্ধে দল গঠন করতে থাকে। তার কৃতকর্মে আল্লাহ এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে মুসা (আ.) কে বলেন "হে মুসা জমিনকে আমি তোমার অধীনস্হ করে দিলাম। অতএব তুমি যা নির্দেশ দিবে তাই করবে।" -...

দেশে কর্পোরেটোক্রেসি অবলম্বন এর ব্যাপারে কিছু কথা

Image
কথা হচ্ছে, আমেরিকা ও ইজরায়েল এর মতো দেশে কর্পোরেটোক্রেসি অবলম্বন হতে পারে। মহামারী পরবর্তী সময়ে এটি দিনকে দিন প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পাবে৷ যা হলুদ মিডিয়া কোন দিনও সামনে আসতে দিবে না। আসলে কর্পোরেটক্রেসি হলো বিশ্বের শোষক দেশ গুলোর একটি ঘাতক অস্ত্র। তারা শোষন করবে, আপনি শোষিত হবেন। আর শোষন তখনই করতে পারবে, যখন আপনি দুর্বল হবেন। সবল দের শোষণ করা যায় না। দুর্বলের পাশাপাশি হতে হবে দায়বদ্ধ। তারা আপনাকে খাটিয়ে লাভ নিয়ে যাবে, আর আপনাকে দিবে ক্ষুদ্র পারিশ্রমিক। এই সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব সবলেরা দুর্বলের উপর দেখিয়ে থাকে। আর এই মহামারীর সুযোগ নিয়ে বহু অসাধু ক্ষমতাসীন এ পন্থা অবলম্বন করতে পারে৷ ফলে তাদের কুকীর্তির প্রভাব পড়বে সমগ্র দলের উপর। মূলত অপরাধ কিন্তু তারা একাই করেছে। আর বর্তমানে অসাধুদের এই কর্পোরেটোক্রেসি পন্থা অবলম্বন অতীব জরুরি। কেননা এটাই যোগ্য সময়। যখন চারিদিকে লকডাউন, উৎপাদন বন্ধ! তখনই দেশের হত দরিদ্রদের এই পন্থা অবলম্বন করে একটি বড় লভ্যাংশের মুখ দেখার আশা নিয়ে স্বল্প মূল্যে সেসব মানুষদের খাটিয়ে নিবে। আওয়ামী নেতাদের মাঝে এই কর্পোরেটোক্রেসি মনোভাব অনেক আগে থেকেই আছে। এর সাথে আবার আন্তর...

করোনা নিয়ে ধোয়াসা

নয়ন চ্যাটার্জির একটা ব্যাপার দেখলাম, উনি করোনাকে খুব সাধারণ ভাবে নিচ্ছেন। এই যেমন গতকাল উনি নিউইয়র্ক এর সাথে বাংলাদেশের তুলনা করলেন। সে দেশে ৫০ তম দিনে ১৫ হাজারের মতো মৃত্যু হার আর আমাদের দেশে ১৫০ এর মতো। নয়ন চ্যাটার্জি কে চেনেন তো? একজন অনলাইন ব্লগ রাইটার। অনলাইনে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগ রাইটার দের একজন। তো, উনি কি জানেন না? বাংলাদেশে ধামাচাপার খেলা চলে! প্রতিদিন করোনার উপসর্গ নিয়ে কি পরিমান মানুষ মরছে বাংলাদেশে! আমেরিকা নিজেরা র‍্যাপিড কিট বানায়ে প্রথমেই ১০ লাখের মতো টেস্ট করেছে, যার ফলাফল স্বরুপ আক্রান্তের হার ৫০ গুণ বেড়ে গেছে। অপর দিকে বাংলাদেশে সরকারের জন্য লস প্রজেক্ট হওয়ায় তালবাহানা করে বাদ দেয়া হয়েছে। বলে কি না বিশ্বের কোন দেশই এই র‍্যাপিড কিট ব্যাবহার করে নাই, এমন কি আমেরিকাও না। যা একটা চরম মিথ্যা কথা। কারন --  https://bit.ly/2KCSLMe। টেস্ট হয় কত ভাই? আক্রান্তের হার আটকানো গেছে মানে? প্রতিদিনই তো জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। আর মৃত্যুর ঐ সংখ্যাটা নিয়ে প্রশ্ন করে আমি নিজে বিপদে পড়তে চাই না। তবে সংখ্যা ল্র ব্যাপারটা প্রায় সবাই বুঝতেসে। সবই ধামা চাপার খেলা। আরো একটা ব্...

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট ও সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের রাজনীতি।

Image
 ঘটনা হচ্ছে, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট, যা ড. বিজন কুমার শীল তৈরি করেছিলেন সেটা সরকার গ্রহণ করেন নি। কেন করেন নি? উত্তর হচ্ছে কারনটা জানা নেই। বিভিন্ন অযুহাতে সেটা রিফিউজ করে দেয়া হয়েছে। কি এই বিশেষ করোনার কিট? এই বিশেষ করোনার কিটের সাহায্য জানা যাবে যে কোন ব্যাক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলো কি না। অর্থাৎ, ধরুন আপনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিন্তু কোন উপসর্গ দেখা যায়নাই, যার কারনে আপনি টেস্ট করান নাই। আর আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়ায় আপনি সুস্থ হয়ে গেছেন। এই কিটের মাধ্যমে টেস্ট করলে বুঝা যাবে আপনার শরীরের করোনা প্রবেশ করেছিলো কি না। সরকারের এই রিফিউজ কেন? কারন হচ্ছে লস প্রজেক্ট। আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করবে, টেস্ট করালে আবার সরকারের লস প্রজেক্ট হবে কিভাবে? -- আমি বলবো, যেহেতু এটা এন্টিবডি কিট সেহেতু এর দ্বারা টেস্ট করালে সহজেই বুঝা যাবে যে কে আক্রান্ত হয়েছিলো এবং সুস্থ হয়ে গিয়েছিলো। আমি আরো বুঝিয়ে বলছি, ধরুন আপনি আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন। কোন চিকিৎসা লাগে নাই। এখন এই কিট দিয়ে টেস্ট করালে দেখা যাবে এমন শত শত আবাল বৃদ্ধ বনিতাদের...

নাস্তিকদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের ব্যাপারে কিছু কথা

নাস্তিকদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের ব্যাপারে কিছু কথা কথা হচ্ছে করোনার মুক্তিতে বিজ্ঞান একা লড়ছে। মসজিদ নয়। তো আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মসজিদ কি গবেষণার? নাকি স্রষ্টার উপাসনালয়? কোথায় কি করা লাগে এই বোধ শক্তিটা নাস্তিক সমাজের মাঝে নাই দেখি। মসজিদে কি আমরা গিয়ে গবেষণা করি? না করি না। আমরা নামায আদায় করি, স্রষ্টার ইবাদাত করি। কিন্তু এই ইবাদাত করাটাও এই করোনা এপিডেমিক এর জন্য বন্ধ। আমরা মসজিদে যেতে পারছি না। ইবাদাত করতে পারছি না। আবার অনেকে বলবে যে এটা অন্ধ বিশ্বাসী দের জন্য বলা হয়েছে। বিজ্ঞান সম্মত হওয়ার জন্য সামান্য ভাবে একটু খোঁচা দেয়া হয়েছে। তো, যারা এই খোঁচাটা দিয়েছে, তারা কতটা বিজ্ঞান সম্মত এটাই ভাবনার বিষয়। একটা উদাহরণ দেই। অনলাইন ব্লগের দুনিয়ায় নাস্তিকদের অন্যতম আদর্শ হচ্ছে ব্লগার অভিজিৎ এর মত কিছু নাস্তিক। যারা কিনা অন্য ধর্মালম্বীদের গালি দেয়ার মাধ্যমে নিজেদের বিজ্ঞানমনস্ক ভাবে। বিশেষত ইসলাম ধর্মকে গালি দিয়ে। এদের কথিত বিজ্ঞানসম্মত মনোভাবের অপর পৃষ্ঠায় যে চরম মুর্খতা বিরাজ করতো, তা এরা জানে না। অবশ্য নাস্তিক মানেই মুর্খ। যারা খুব ক্ষুদ্র জ্ঞানকে বিজ্ঞানসম্মত মনোভাব বলে সবার সামনে জাহ...

২৯ এপ্রিল ২০২০ এ পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে

Image
অনেক দিন ধরেই ইউটিউব, ফেসবুকে দেখছি ২৯ এপ্রিল ২০২০ এ মহাকাশ থেকে একটি এস্টেরয়েড পৃথিবীতে আছরে পড়বে, তাতে মানব অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। ফেসবুক, ইউটিউবে চলছেই। নাসা নাকি ডিক্লিয়ার দিয়েই দিয়েছে, এটা নাকি পৃথিবীতে আছরে পড়বেই। খুব টেনশনে পড়ে গেলাম। কিছু জানার আগেই এভাবে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। কিভাবে কি? যাক, পরে জিনিসটা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলাম। ঘাটাঘাটির পর যা জানলাম, তার জন্য আমি একটুকও প্রস্তুত ছিলাম না। তো, সেটাই লিখছি বিশদ ভাবে। ২৯ এপ্রিল ২০২০ এ যে এস্টেরয়েডটা পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা আছে, সেটার নাম হচ্ছে 1998 OR2। এর ব্যাস ৪.১ কি.মি। মানে মাউন্ট এভারেস্টের অর্ধেক। এটি ৩২০০০ কি.মি (প্রতিঘন্টা) গতিতে এগিয়ে চলেছে। তো এটা যদি পৃথিবীতে আছরে পড়ে, তবে সমগ্র পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। পারমেডিয়ান পিরিয়ডে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছিলো এই চিক্সিলুপ নামের একটি এস্টেরয়েড পৃথিবীতে পড়ার জন্য। এটি 1997 OR2 এর চেয়ে ছোট ছিলো। কিন্তু এরপরেও চিক্সিলুপ থেকে এত পরিমান শক্তি নির্গত হয়েছিলো, যার দ্বারা পৃথিবীকে ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব ছিলো। আর 1997 OR2 এত বিশাল। এটি পৃথিবীতে আছরে পড়লে কি হতে পা...

করোনায় আক্রান্ত রোগীর জুমার সালাত আদায়ের ব্যাপারে ফতোয়া

মহামারী রোগের সম্প্রসারণ ও তার আশঙ্কা জনক অবস্থায় জুমা ও জামাতে সালাতে অংশগ্রহণ বিষয়ক জরুরি ফতোয়া ▬▬▬▬●●●▬▬▬▬ সৌদি কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারর্স (সৌদি আরব সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ) এর সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত নং ২৪৬। তারিখ: ১৬/৭/১৪৪১ হিজরি [১০/০২/২০২০ খৃষ্টাব্দ]  গত ১৬/৭/১৪৪১ হি: তারিখ বুধবার রিয়াদে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ২৪তম বিশেষ অধিবেষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহামারী রোগের সম্প্রসারণ ও তার আশঙ্কা জনক অবস্থায় জুমা ও জামাতে সালাতে অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারটি উপস্থাপিত হলে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তারা ইসলামী শরীয়তের দলিল-প্রমাণ, লক্ষ্য- উদ্দেশ্য, মূলনীতি এবং এ বিষয়ে বিজ্ঞ আলেমদের মতামত গবেষণা ও পর্যালোচনা করেন। এরপর সে আলোকে ওলামা পরিষদ নিম্নলিখিত বিবরণ পেশ করে: ◯ প্রথমত: “মহামারী রোগে আক্রান্ত” ব্যক্তির জুমআ ও জামাআতে উপস্থিত হওয়া হারাম। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, لَا يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ “অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ ব্যক্তির কাছে উপস্থিত করা যাবে না”। (বুখারী হা/৫৩২৮ ও মুসলিম হা/৪১১৭) ইমাম নববী বলেন, কেননা এতে যদি আল্লাহর হুকুমে স...

একটি সংশোধন

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সর্বোত্তম যিকর। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/ ৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২] . এই জিকিরের ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই লিখবো লিখবো করে আর লিখা হচ্ছে না। কিন্তু, আজ বসে পড়লাম লিখতে। কারন, আমি নিজেও এই জিকিরে একটা মারাত্মক ভুল করেছিলাম। তাই আর কেউ যেন ভুল না করে অথবা, ধারনা যেন সংশোধন হয় তাই লিখলাম। "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ " অর্থ, আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই। আসলেই অনেক সুন্দর একটি যিকর। কিন্তু, অনেক হুজুর আছেন, যারা এই বাক্যটিকে ভেঙে যিকর করেন। যেমন "লা ইলাহা" - "ইল্লাল্লাহ"। আলাদা আলাদা করে যিকর করে। আর যিকর নিয়ে বাংলাদেশে চরমোনাই পীর ও হেলিকপ্টার হুজুরের বিতর্ক খুব প্রসিদ্ধ। তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী এই শাহাদাহ ভেঙে পড়লে সমস্যা নেই। কারন হিসেবে তারা ব্যাকরণ দেখাচ্ছে। - কথা কিন্তু ঠিক। " লা ইলাহা" শব্দটি কিন্তু আরবি ব্যাকরণ অনুযায়ী ঠিক আবার "ইল্লাল্লাহ" শব্দটিও আরবি ব্যাকরণ অনুযায়ী ঠিক। আবার অতীতে অনেক পীর - বুজুর্গ এই জিকির ভেঙে করেছিলেন।.... ব্যাপার হচ্ছে, আরবি বুঝে পড়ার কথা ইসলামে বলা হয়েছে। কেনো বলা হয়েছে, তা...

করোনার উপসর্গ ধরতে পারার একটি ঘরোয়া পদ্ধতি

Image
আপনি কি করোনায় আক্রান্ত? . মাত্র ১০ সেকেন্ডের পরীক্ষায় বুঝা যাবে আপনি করোনায় আক্রান্ত কি না। মূলত, করোনায় আক্রান্ত হলে প্রথম প্রথম এর উপসর্গ গুলো বুঝা যায় না। কিন্তু, যখন বুঝা যায় তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। ফুসফুস প্রায় অনেকটাই বিকল হয়ে যায়। প্রায় ৫০ ভাগ ফাইব্রোসিস হয়ে যায় ফুসফুসে। তাই শুরুতেই স্টেপ নেয়া উচিত! আর স্টেপ নিতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে যে আপনি করোনায় আক্রান্ত কি না। কেউ করোনায় আক্রান্ত কি না, এটা জানার জন্য তাইওয়ানের বিজ্ঞানীরা একটা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। এটার সাহায্যে ঘরে বসেই কেউ বুঝতে পারবে, যে সে করোনায় আক্রান্ত কি না। পদ্ধতিটি হচ্ছে -- প্রতিদিন সকাল বেলা যখন কেউ ঘুম থেকে উঠে, তখন লম্বা করে শ্বাস  নিয়ে ১০ সেকেন্ড আটকে রাখতে হবে। এসময় যদি তার ফুসফুসে অসস্তি লাগে এবং সাথে হাল্কা কাশি উঠে, বুঝতে হবে ফুসফুসে ইনফেকশন আছে। বিলম্ব না করে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আর যদি এরকম কিছু না হয়। তবে সমস্যা নেই। আপনি সুস্থ আছেন। আপাতত এটাই হচ্ছে করোনার প্রাথমিক উপসর্গ বুঝার পদ্ধতি। তবে সাবধনতার বিকল্প নেই। বিশেষত, মুখ ও খাদ্যনালী শুকনো রাখা যাবে না। এর জন্য বেশি বেশি পানি পান...

ঈমানি সীমাবদ্ধতা (পর্বঃ খৃষ্টধর্ম-১)

আলহামদুলিল্লাহ। আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ। ঈমানি সীমাবদ্ধতা নামের এই পর্বে আমরা বিভিন্ন ধর্মের বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে পারবো। যুগে যুগে মানুষ শয়তানের ধোকায় পড়ে বিপথে গেছে। আল্লাহ ব্যাতীত বিভিন্ন দেব-দেবির পূজা শুরু করেছে। আর যা হচ্ছে প্রকাশ্য শিরক। আর মহান আল্লাহর সাথে শিরক করা হচ্ছে শিরকে আকবার। যা আল্লাহ কখনোই ক্ষমা করবেন না। অবশ্য, তাওবা করে ইসলামে দাখিল হলে সেটা আলাদা কথা। তখন কি হবে সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। আমার লেখার বিভিন্ন পর্বে খৃষ্টান ধর্মালম্বীর ঈমানের কিছু বুনিয়াদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানবো। তাদের বিশ্বাস, ভ্রান্ত ধারনা, তাদের ধর্মের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে লিখবো ইনশাআল্লাহ। বিশেষত বাইবেল রচনা ও এর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা এবং তাদের বিশ্বাসের কিছু ভুল এবং কোরঅান হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ও আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা শ্রেষ্ঠ বাণী, এই বিষয়ে লিখবো ইনশাআল্লাহ। খৃষ্টান ধর্মালম্বীরা বিশ্বাস করে হযরত ঈসা (আ.) হচ্ছেন আল্লাহর সন্তান (নাউযুবিল্লাহ)। আর তাদের ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে বাইবেল। বাইবেল এর দুটি অংশ। একটি "ওল্ড টেস্টামেন্ট " এবং আরেকটি "নিউ টেস্টামেন্ট"। খৃ...

ঈমানের বুনিয়াদ ( Part: খৃষ্টঃ)

কলি যুগে যখন মানব সভ্যতার উন্নয়নের স্বর্ন শেখরে আরোহন করেছে, সেখানে বাধা প্রতিবন্ধকতা আসে দ্বীন ব্যাবস্থার। একেক জন একেক বিশ্বাসে বিশ্বাসী। বিশ্বাস যার যেরকম, সমস্যা নেই। সমস্যা উগ্রবাদী মনোভাবের। যাদের প্রভাব বেশি, তারা তাদের দেশের সংখ্যালঘুদের উপর সীমাহীন নির্যাতন করে থাকে! যেমনটা দেখতে পারি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে,  মায়ানমার! সেখানে কি সীমাহীন নির্যাতনই না সহ্য করতে হয়  মুসলিমদের। সত্যি বলতে কি! শুধু ভারত, মায়ানমার নয়! সারা বিশ্বেই কোন না কোন ভাবে মুসলিমরা নির্যাতিত। কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্যের মসজিদে মুসলিম দের হামলা, এর আগে নিউজিল্যান্ডে, ফিলিস্তিনে ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্য নির্যাতনের শিকার হচ্ছে মুসলিমরা। সেটা ইহুদি কর্তৃক। খোদ ইসলামিক রাষ্ট্র গুলোতেই মুসলিম দের উপর সীমাহীন নির্যাতন চলে। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে ইয়েমেন। যাইহোক.... মূল প্রসঙ্গে আসি। প্রসঙ্গ হচ্ছে ঈমান। মানে বিশ্বাস। যার যার বিশ্বাস যার যার জন্য। কোন ধরা বাধা নেই। যে যার মত ধর্ম পালন করবে। কোন বাধা নেই। বাধা কখন আসে জানেন? যখন উস্কানি দেয়া হয়! উস্কানি খুব খারাপ একটা জিনিস। অনেক বাজে বকলাম। এবার মূল বিষয়ে আসি।...

আধুনিক বিজ্ঞানের ওপিঠ

Image
শিক্ষিত পাগল কাদের বলাহয় জানেন? বিজ্ঞানীদের! কেন বলা হয় জানেন? - বলছি! শুনুন..... . বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস গোসল করার সময় তাঁর রিসার্চের একটি জটিল তথ্য মিলিয়ে ফেলেন, যার ফলে তিনি উলঙ্গ হয়েই রাজ দরবারে দৌড়ে যান তাঁর তথ্য রাজাকে শোনাতে! - এটাতো সাধারণ একটি ব্যাপার। . এনাটমির জনক বলাহয় আন্দ্রেস ভ্যাসিলাস। তার খুব ইচ্ছা ছিলো মানব দেহের ভেতরের অংশ গুলো কেমন হয়, তা জানার। তিনি ঠিক করলেন যখনই কেউ মারা যাবে, তিনি তার শরীর কেটে দেখবেন। -- এরপর তিনি তাই করলেন। যখনই কেউ মারা যেত, হাতে একটি ছোরা নিয়ে চলে যেতেন। লাস দাফনের পর তিনি সে লাশ গুলোকে কাটতেন আর ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলো দেখতেন আর নোট করতেন! তিনি প্রত্যেকবারই ধরা খেতেন আর গণধোলাইয় খেতেন। সবশেষে তাঁকে গ্রাম থেকে বেড় করে দেয়া হয়। কিন্তু, অন্য গ্রামে গিয়েও তিনি একই কাজ করতেন! তাঁর এই একরোখা পাগলামির জন্যই তাকে আধুনিক এনাটমির জনক বলাহয়। . এই পাগলামির চেয়েও আরো ভয়ানক পাগলামি করেছিলেন দুইজন বিজ্ঞানী!...... . পিয়েরে কুরী ও মেরী কুরী! রেডিয়াম কে ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য ব্যাবহার করতে চেয়েছিলেন। এর জন্য এর তেজস্ক্রিয়তা জানা দরকার ছিলো। তাই  ...

ভারত কি হিন্দু রাষ্ট্র?

Image
না, ভারত হিন্দু রাষ্ট্র নয়। ভারত অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। ভারতের সম্পূর্ণ নাম Republic Of India বা, প্রজাতন্ত্র ভারত। তো, ভারত বলতে আমরা মুসলিম বিদ্বেষী একটি দেশ হিসেবে চিনি, যাদের অধিকাংশই হিন্দু। হিন্দু বলতে হিন্দু দেশ হিসেবে দাবি করে! লজ্জাজনক হলেও, আমার দেশেও কিছু আজন্ম নিমকহারাম আছে, যারা প্রকাশ্যে দেশের বিরোধিতা করে ভারতকে সমর্থন করে। অথচ ভারতযে নিজের প্রভাব এর ফায়দা নিয়ে দেশটাকে শুষে খাচ্ছে, সেদিকে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা, ভারতকে ভালোবাসে ধর্মীয় সম্প্রীতির নামে! কি সম্প্রীতি? "আমি হিন্দু, ভারতীয়রাও হিন্দু"..... আর হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই। . আচ্ছা! ভারত কি আদৌ হিন্দু রাষ্ট্র!? . না হে...... ভারতের এমন অনেক রাজ্য আছে, যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা বাংলাদেশের চেয়েও কম। . একটি লিস্ট দেই.... বুঝতে পারবেন! . ১. মনিপুর - ৪৬.০১% ২. পাঞ্জাব - ৩৬.৯৪% ৩. অরুনাচল - ৩৪% ৪. জম্মু ও কাশ্মীর - ২৯% (মুসলিম অধ্যুষিত) ৫. মেঘালয় - ১৩% (খৃষ্টান অধ্যুষিত) ৬. নাগাল্যান্ড - ৭% (মুসলিম অধ্যুষিত) ৭. লাক্ষাদ্বীপ - ৩% (মুসলিম অধ্যুষিত - আরব সাগরের তীরবর্তী কেন্দ্রশাসিত রাজ্য) ৮. মিজোরাম ...

নোভেল করোনা ভাইরাস

Image
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে। করোনা ভাইরাস বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। তবে সব গুলো বিপদজনক নয়। খুবই বিপদজনক হলো MERS এবং SERS। MERS - Muddle East Respiratory Syndrome। আর SERS - Severe Respiratory Syndrome। এই দুইটি খুবই মারাত্মক ভাইরাস৷ এদের মাঝে MERS এ আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের একজন ডাক্তারও মধ্যপ্রাচ্যে কোন একটি দেশ, সম্ভবত সৌদি আরবে মারা গিয়েছিলেন। এসব গুলির ব্যাপারে মানুষ আগেই অবগত ছিলো। কিন্তু, এর চেয়েও ভয়ানক হচ্ছে উহান করোনা ভাইরাস। এই উহান করোনা ভাইরাস চীনের উহান প্রদেশ থেকে প্রথম আবিষ্কার করা হয়। এর উৎপত্তি হয় কোন একটি বাজার থেকে। এই উহান করোনা ভাইরাস বাদুর ও সাপ থেকে ছড়ায়। এর কোন প্রতিষেধক নেই। আপনার সুস্থতা নির্ভর করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটুকু, তার উপর। আর হ্যা, এই রোগটি কিন্তু ছুঁয়াচে। মানুষের হাত, মুখ, ও ব্যাবহৃত কাপড় থেকে এই রোগ বেশি ছড়ায়। তাই সাবধানে থাকতে হবে। . বর্তমানে ধারনা করা হচ্ছে, এই উহান করোনা ভাইরাসের মহামারীতে বিশ্বে অন্তত ৬ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে। এর কোন প্রতিষেধক নেই। আপনার দেহই এর প্রতিষেধক। . কিভাবে বুঝবেন? - করোনার সব প্রজাতিই সাধারণত নাক, ...

তাদের কি কোন অনুভূতি নেই?

Image
আওয়ামিলীগ সরকারের প্রতি যারা সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়ে থাকে, তারা হচ্ছে বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আর আওয়ামীলিগ যাদের সবচেয়ে বেশি সুযোগ দিয়ে থাকে, তারাও সেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরই। যাই হোক, এত কিছুর পরও আমি কেন এখানে আসলাম সমালোচনা করতে! এটাই এখন প্রশ্ন। প্রশ্নের উত্তরও আছে। লেখা সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন। বুঝতে পারবেন..... তো, কথা হচ্ছে, আমি কেন সেই অন্ধ সমর্থন নিয়ে কথা বলতে আসলাম? কারন,  আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ইং তারিখ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। আবার ঐ একই দিন, সেই সনাতন ধর্মাবলম্বী দের স্বরস্বতী পূজা। হিন্দুধর্মের বিশ্বাস মতে স্বরস্বতী হচ্ছে বিদ্যার দেবী। আর সামনে হচ্ছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা। এরই মাঝে নির্বাচন কমিশন একটা ধর্মাবলম্বীর  উৎসব এর দিনে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করে কাজটা বোধ করি ঠিক করেনি। আর এই কারনেই তারা মানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা   গেছেন বেজায় চটে। সবারই প্রশ্ন একটা! সংখ্যালঘুদের কি অনুভূতি নেই? স্বরস্বতী পূজার দিন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হলো কেন? ব্যাপারটা আমারো ভালো লাগেনি...

আমার ধর্ষিতা স্বাধীন বাংলা

Image
চারিদিকে শুধু ধর্ষণ! বাসে ধর্ষণ, এদিকে, সেদিকে- সব জায়গায়। খবর গুলোতে যেন ধর্ষণের সংবাদ দেয়াটা একটা রুটিনের মত হয়ে গেছে। আর হবেই না বা কেন? দেশেও যে রুটিন করে ধর্ষণ হচ্ছে! এ যেন এক মহামারী। এই ২০২০ সালে ১৪ দিনে ১৩টি ধর্ষণ হয়েছে! ভাবা যায়? এই নতুন সরকার গঠনের পর নজীর বিহীন ভাবে ধর্ষণ হচ্ছে। এর মূল কারন হচ্ছে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নেই। . আমি যখন ছোট ছিলাম। মানে ৬ষ্ট কি ৭ম শ্রেণীতে পড়তাম, তখন ছিলো আওয়ামী শাসনামলের শুরু। মানে ২০১০-২০১১ এর দিকে। তখন খবরের কাগজ গুলোতে দেখতাম আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলোর সব ভয়াবহ ঘটনা। সেগুলা ছিলো ভারতে। কিন্তু যুগের বিবর্তনে সেই সব কুকর্ম গুলো বর্ডার পার করে আমার দেশেও যে এভাবে হানা দিবে! ভাবতে পারিনি কখনো। . দেশে অনেক কিছুই হচ্ছে। উন্নত সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সসজ্জিত হচ্ছে আমাদের সামরিক বাহিনী। পুলিশের সুযোগ সুবিধা বাড়ছে দিনকে দিন। এক কথায় সব কিছুই হচ্ছে। কিন্তু হচ্ছে না আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ। সবাই যে টাকার কাছে জিম্মি। টাকার পর আসে বাবা-চাচা-মামা এবং সর্বনিম্ন হচ্ছে নিকট আত্মীয়। কাজ শেষে কোন ভাবে যদি একটা ফোন দেয়া যায়.... তবেই কিল্লাফতে। আরো দুঃখজনক ব্যাপার...

পারমাণবিক বোমা নাকি হাইড্রোজেন বোমা, কোনটা বেশি শক্তিশালী?

Image
ভার্সিটিতে ডিপার্টমেন্টের বড় ভায়ের সাথে এই বিষয়ে তুমুল বিতর্কে লেগেছিলাম। কোনটা বেশি শক্তিশালী, পারমানবিক বোমা নাকি হাইড্রোজেন বোমা। আমি ঠিক ভাবে জানতাম না। শুধু ভায়ের ফোকাসে আসার জন্যই এই বিতর্কটা করেছিলাম। আসলে তখন ভার্সিটিতে নতুন ছিলাম তো। সব ভায়ের সাথে কথা বলার সাহস হতো না। এই ভাইটা খুবই লিনিয়্যান্ট ছিলেন। তাই তার সান্যিধ্যে যেতে চাওয়া!! তো যাই হোক, হয়ত ভাই আমার ইiচ্ছার ব্যাপারটা কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলেন। তাই এই বিষয়ে বেশি কিছু বলেন নি আমাকে। শুধু বলেছিলেন এই দুটি বিষয় সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে উনার রুমে গিয়ে কি শিখলাম সেটা জানাতে। নয়ত অযথা তর্ক করার কারনে কঠোর শাস্তি দিবেন। — ভাই তো গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে বেড়িয়ে গেছেন। কিন্তু, তার জন্য আমি এই বিষয়টা ভালো ভাবেই শিখে নিয়েছিলাম! — যাক, মূল বিষয়ে আসি। পারমানবিক বোমা ও হাইড্রজেন বোমার মাঝে হাইড্রজেন বোমা পারমানবিক বোমার চেয়ে ১০০০ গুন বেশি শক্তিশালী। আসুন, আলোচনা করি…… . পারমানবিক বোমাঃ. বর্তমানে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আমেরিকা আর রাশিয়ার মাঝে উত্তেজ্জনা বিরাজ করছে। যদি এই ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মাঝে যুদ্ধ বেধেই যায় তো পারমানবিক যুদ্ধ হবা...